Technology Dunia....

YoutTube এর কিছু মজার কোড, যেটা অধিকাংশই জানিনা

আসসালামু আলাইকুম,

আমাদের প্রিয় Youtube এর কিছু গোপন Code রয়েছে, এটি প্রায় ৮০ ভাগ লোক ই জানেন না। আজকে সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আশা করি সবার ই ভালো লাগবে। কথা বারিয়ে লাভ নাই চলুন কাজের দিকে যাই।
youtube funny code
টিপস – ১
প্রথমে YouTube যান,
এবার সার্চ বার এ Doge meme লিখে সার্চ দিন আর দেখুন ম্যাজিক, আপনার ইউটিউব এর ফ্রন্ট স্টাইল আর কালার পরিবর্তন হয়েগেছে।
টিপস – ২
এবার সার্চ বার এ Beam me up Scotty লিখে সার্চ দিন বা এন্টার এ চাপ দিন, দেখবেন আপনার ইউটিউব স্ক্রিন এ বৃষ্টির মতো এফেক্ট উপর থেকে নীচের দিকে পরছে। (এটি সবসময় কাজ নাও করতে পারে)
টিপস – ৩
এই ম্যাজিকটা খুব মজাদার Use the Force Luke লিখে সার্চ দিন বা এন্টার চাপুন, আপনার ইউটিউব অ্যানিমেটেড হয়ে যাবে ভিডিও এর সঙ্গে টেক্সট গুলো স্ক্রীন এ ভাসতে থাকবে।
টিপস – ৪
এবার আসি সবথেকে মজাদার ম্যাজিক এ এটা আমার খুব ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদেরও খুব ভালো লাগবে, এই ম্যাজিক এ ইউটিউব গানের তালে তালে নাচতে থাকবে।
ম্যাজিকটি দেখার জন্য আপনাকে সার্চ বারে Do the Harlem Shake লিখে সার্চ দিতে হবে কিছুক্ষণের মধ্যে একটা গান বাজবে আর ইউটিউব নাচবে।
সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
এরকম আরোও ভালো ভালো টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ সকলকে।
Share:

মোবাইল ও কম্পিউটারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখুন

সবাই আমার সালাম নিবেন। আশা করি আল্লাহর কৃপায় সবাই ভালো আছেন। আজ আমি কম্পিউটারের এমন কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব যা প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত। তথ্য গুলো খুবই কাজের। অনেকের এ তথ্যগুলো জানা থাকতে পারে। আবার অনেকে জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্য আমার এই টিউন। যারা কম্পিউটারে নতুন + এ তথ্যগুলো জানেন না তাদের আশা করি এ তথ্যগুলো ১০০% কাজে লাগবে। তাহলে চলুন আর কথ্য না বাড়িয়ে আমরা এই জটিল তথ্য গুলো জেনে নেই।
mobile computer information

কম্পিউটার মানে কি ?
কম্পিউটার এর মনিটরে অস্থায়ীভাবে বর্ণ, সংখ্যা, বিশেষ ধরনের অক্ষর, ছবি, চিত্র ইত্যাদিকে কম্পিউটার গ্রাফিক্স বলে।

Pixel কাকে বলে ?
কম্পিউটারের স্ক্রিনে আমরা যে ছবি দেখি তা অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোক বিন্দু নিয়ে গঠিত। এসব আলোক বিন্দুর প্রতিটিই এক একটি Pixel|

রেজোলুশন (Resolution) কি ?
মনিটরের পর্দায় হরাইজন্টাল ও ভ্যার্টিক্যাল বরাবর মোট পিক্সেলের সংখ্যাকে রেজুলেশন বলে। প্রকৃত পক্ষে মনিটরের অনুভূমিক ও উল্লম্ব বরাবর পিক্সেলের সংখ্যাই রেজোলুশনের পরিমাপ।

পিক্সেলের ভূমিকা
গ্রাফিক্স তৈরির ক্ষেত্রে কোন ছবি বা গ্রাফিক্সের পিক্সেল সংখ্যা যত বেশি হবে ছবিটি দেখতে তত বেশি সুন্দর, সুস্পষ্ট, আকর্ষণীয়, জীবন্ত ও বাস্তব প্রকৃতির হবে। বিপরীতক্রমে পিক্সেল সংখ্যা কম হলে ছবিটি দেখতে ঝাপসা ও অস্পষ্ট দেখা যাবে।

ডাটা (Data) কি ?
ডাটার আভিধানিক অর্থ হল উপাত্ত। সাধারণ অর্থে ডাটা বলতে কোন কিছুর মান (Value) অথবা দলীয় মানকে বুঝায়।

মেমোরি কি ?
যে যন্ত্রাংশের মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত, ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তাকে কম্পিউটারের ভাষায় মেমোরি বা স্মৃতি বলে।

মেমোরির প্রকারভেদ
মেমোরি সাধারণ ২ প্রকার।
(১) প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি)
(২) সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি)
(১) প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি): কম্পিউটারের সিপিইউ এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত যে স্মৃতি চলমান প্রোগ্রাম, ডাটা, নির্দেশ হিসেবের ফলাফল ইত্যাদি সংরক্ষণ করে তাকে প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি) বলে। যেমন: র্যাম, রম।
প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি) আবার ২ প্রকার।
(ক) র্যাম (RAM): র্যাম (RAM) কম্পিউটারের একটি অস্থায়ী মেমোরি যার ডাটা কম্পিউটার বন্ধ হলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলে ডিলেট হয়ে যায়।
(খ) রম (ROM): কম্পিউটারের একটি স্থায়ী মেমোরি যার ডাটা কম্পিউটার বন্ধ হলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলেও ডিলেট হয়ে যায় না।
(২) সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি): কম্পিউটারের যে স্মৃতি ব্যবস্থার সাথে সিপিইউ এর প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকে না কিন্তু অধিক পরিমান তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে যে স্মৃতি ব্যবস্থা তাকে সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি) বলে। যেমন: হার্ড ডিক্স, ফ্লপি ডিক্স, সিডি ইত্যাদি।
সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি) আবার ৪ প্রকার
(ক) H.D.D (হার্ড wW•): হার্ড ডিক্স কম্পিউটারের একটি বৃহৎ ষ্টোরেজ ডিভাইস। হার্ড ডিক্সে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার থাকে এবং সকল সফটওয়্যার গুলোও হার্ড ডিক্সে ইন্সষ্টল করা থাকে। খুব দ্রুত ফাইল সংরক্ষণ করে এবং স্থায়ী মেমোরি।
(খ) F.D.D: সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যা দ্বারা কম্পিউটারের ডাটা, প্রোগ্রাম, সফটওয়্যার ইত্যাদি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে অতি সহজে স্থানান্তর করা যায়।
(গ) CD/DVD: সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যাতে অডিও, ভিডিও, ছবি, ফাইল, সফটওয়্যার ইত্যাদি সব কিছুই রাখা যায় এবং প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করা যায়।
(ঘ) Pen Drive: পেনড্রাইভ হচ্ছে সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যাতে অডিও, ভিডিও, ছবি, ফাইল, সফটওয়্যার ইত্যাদি সব কিছুই রাখা যায় এবং প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করা যায়। বলতে পারে প্রায় CD/DVD এর মতই।
স্মৃতির ধারণ ক্ষমতা
কম্পিউটারের স্মৃতির ধারণ ক্ষমতার পরিমাপের একক হিসেব বিট শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বাইনারি b¤^i পদ্ধতিতে অংক ০ এবং ১ কে বিট বলে।
৮ বিট = ১ বাইট
১০২৪ বাইট = ১ কিলো বাইট
১০২৪ মেগাবইট = ১ গিগা বাইট
১০২৪ গিগা বাইট = ১ টেরা বাইট
১০২৪ টেরা বাইট = ১ পেটা বাইট
সবাইকে অসংখ্যা ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য
Share:

কোনটি সোজা এবং ভাল, ব্লগার বনাম ওয়ার্ডপ্রেস

আসসালামু আলাইকুম।
ওয়ার্ডপ্রেস না ব্লগার সেরা? এরকম একটা বিতর্ক অনেকের মধ্যেই হয়। তবে এটা মূলত বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। সুবিধার দিক দিয়ে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস এগিয়ে। এটি প্রায় যেকোন ধরণের সাইটের জন্য আদর্শ। কিন্তু মনে রাখতে হবে দুটোরই অনেক সুবিধা যেমন আছে তেমনি অসুবিধাও আছে। তাই আপনাকে দেখতে হবে আপনার জন্য কোনটা। এগুলোর সুবিধা অসুবিধার দিকগুলো নিয়ে অনেক টিউন অনলাইনে পাবেন। তাই সেসবে যেতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু আলোচনার সুবিধার্থে কিছু কথা বলে নিই।
wordpress vs blogger

প্রথমত, দুটোই ফ্রি, কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস ওপেন সোর্স এবং বেশি কাস্টমাইজেবল। তবে ব্লগস্পটে সাইট এডিট করাসহ কিছু কাজ তুলনামূলক সহজ। কিন্তু, ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি বিভিন্ন প্লাগ ইন পাবেন যা ব্লগস্পটে নেই। দ্বিতীয়ত, ব্লগস্পটের হোস্ট আর ডোমেইন গুগল থেকেই পাবেন। প্রয়োজনে থার্ড পার্টি ডোমেইন যোগ করা যাবে। তবে ওয়ার্ডপ্রেসে হোস্টিং ও ডোমেইন থার্ডপার্টি। এজন্য ভালো সার্ভিস পেতে অবশ্যই হোস্টিং এবং ডোমেইন অর্থ দিয়ে ক্রয় করতে হবে। তাই দুটোরই সুবিধা ও অসুবিধা আছে।
তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে, কোনটির সুবিধা বেশি? আমি আজকে সে বিতর্কে যেতে চাই না। কারণ আমার কাছে মনে হয় গুরত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল, আমার সাইটটি কোথায় হোস্ট করব?
মূল আলোচনায় আসার আগে আর একটা কথা বলে রাখি। ওয়ার্ডপ্রেসের কিন্তু দুই ধরণের সার্ভিস আছে। ওয়ার্ডপ্রেস.কম ও ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ। কিন্তু এই আলোচনায় আমি ওয়ার্ডপ্রেস.কম কে বাদ দিচ্ছি। শুধু ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ ও ব্লগস্পটই হবে আলোচনার বিষয় বস্তু। এখানে ওয়ার্ডপ্রেস.কম ও ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ নিয়ে জানতে পারবেন।
এখন মূল আলোচনা শুরু করি। দেখি কার জন্য কোনটি।
সাইটের ধরণ
আপনার সাইট কি ধরণের সেটিই এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম পয়েন্ট। যদি ব্যক্তিগত ব্লগ হয়, বা নির্দিষ্ট কয়েকজনের ব্লগ তবে ব্লগস্পটই উত্তম। কিন্তু যদি ব্লগটি সকলের জন্য উম্মুক্ত হয়, অর্থাৎ, যে কেউ রেজিস্টার করতে পারবে তবে ওয়ার্ডপ্রেসে যাওয়াই ভাল। প্রাতিষ্ঠানিক সাইটের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস আবশ্যক। সংবাদপত্রের জন্য কয়েকদিন আগেও ওয়ার্ডপ্রেসের বিকল্প ছিল না। তবে এখন ব্লগস্পটে অনেক চমৎকার টেমপ্লেট পাওয়া যায়। তাই এক্ষেত্রে আমার মতে দুটোই ব্যবহার করতে পারেন। ব্লগস্পট মানেই শুধু ব্লগ তৈরি হয় এমন নয়। তবে ব্লগ বাদে অন্যান্য বেশিরভাগ সাইট সাধারণত ওয়ার্ডপ্রেসে বেশি তৈরি হয়।
বাজেট
ব্লগস্পটে বিনামূল্যে ১ গিগাবাইট ইমেজ হোস্টিংসহ সাইট বানাতে পারবেন। আর যদি আপনার ইচ্ছা হয় সাইটটাই পেইড টেমপ্লেট ও ডোমেইন নিবেন তবে প্রায় ১৫ ডলার(১২০০ টাকা) থেকে ৩০ ডলার (২৪০০ টাকা) পর্যন্ত খরচ হবে। তবে ফ্রিতেও অনেক চমৎকার টেমপ্লেট পাবেন। আর বাঙালিদের জন্য সব ফ্রি একটু গুগল করলেই প্রায় সব পেইড টেমপ্লেট ফ্রিতে পাবেন। ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি ফ্রি হোস্টিং ও ডোমেইনে সাইট তৈরি করতে পারবেন, কিন্তু ভালো সার্ভিস পাবেন না। এজন্য পেইড হোস্টিং নেওয়া ভাল। অবশ্য ফ্রি হোস্টিং বায়েত হোস্টের সার্ভিস মোটামুটি ভালই। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে থিম ডেভেলোপ একটু কঠিন বলে পেইড থিম নিতে একটু ভাল বাজেট দরকার। ফ্রি থিমও অনেক আছে, কিন্তু ভাল থিমগুলোর জন্য খরচ করতে হবে। তবে আগেও যেটা বলেছি গুগল করলে ফ্রিতেই পাবেন, তবে একটা সুন্দর সাইট তৈরিতে এই কাজটা করা কি অনুচিৎ নয়? তাই, বাজেট একটু বেশি হলেই ওয়ার্ডপ্রেসে আসা উচিৎ। আর ফ্রি থিম ব্যবহার করলেও ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করা ভাল। এজন্য বছরপ্রতি আপনার হোস্টিং প্লানের উপর ভিত্তি করে প্রায় ১২০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। ব্লগস্পটেও .কম/.নেট./.অর্গ ইত্যাদি ডোমেইন কিনে যুক্ত করে দিতে পারেন। এজন্য বছরপ্রতি প্রায় ৮০০ টাকা খরচ হবে। তবে ডোমেইনভেদে ৬০০-২৫০০ পর্যন্ত হতে পারে।
আয়
উদ্দেশ্য যদি আয় করা হয়, তবে এডসেন্স নামক সোনার হরিণ ব্লগস্পটে পাওয়া কিঞ্চিত সহজ।আসসালামু আলাইকুম।
ওয়ার্ডপ্রেস না ব্লগার সেরা? এরকম একটা বিতর্ক অনেকের মধ্যেই হয়। তবে এটা মূলত বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। সুবিধার দিক দিয়ে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস এগিয়ে। এটি প্রায় যেকোন ধরণের সাইটের জন্য আদর্শ। কিন্তু মনে রাখতে হবে দুটোরই অনেক সুবিধা যেমন আছে তেমনি অসুবিধাও আছে। তাই আপনাকে দেখতে হবে আপনার জন্য কোনটা। এগুলোর সুবিধা অসুবিধার দিকগুলো নিয়ে অনেক টিউন অনলাইনে পাবেন। তাই সেসবে যেতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু আলোচনার সুবিধার্থে কিছু কথা বলে নিই।

প্রথমত, দুটোই ফ্রি, কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস ওপেন সোর্স এবং বেশি কাস্টমাইজেবল। তবে ব্লগস্পটে সাইট এডিট করাসহ কিছু কাজ তুলনামূলক সহজ। কিন্তু, ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি বিভিন্ন প্লাগ ইন পাবেন যা ব্লগস্পটে নেই। দ্বিতীয়ত, ব্লগস্পটের হোস্ট আর ডোমেইন গুগল থেকেই পাবেন। প্রয়োজনে থার্ড পার্টি ডোমেইন যোগ করা যাবে। তবে ওয়ার্ডপ্রেসে হোস্টিং ও ডোমেইন থার্ডপার্টি। এজন্য ভালো সার্ভিস পেতে অবশ্যই হোস্টিং এবং ডোমেইন অর্থ দিয়ে ক্রয় করতে হবে। তাই দুটোরই সুবিধা ও অসুবিধা আছে।
তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে, কোনটির সুবিধা বেশি? আমি আজকে সে বিতর্কে যেতে চাই না। কারণ আমার কাছে মনে হয় গুরত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল, আমার সাইটটি কোথায় হোস্ট করব?
মূল আলোচনায় আসার আগে আর একটা কথা বলে রাখি। ওয়ার্ডপ্রেসের কিন্তু দুই ধরণের সার্ভিস আছে। ওয়ার্ডপ্রেস.কম ও ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ। কিন্তু এই আলোচনায় আমি ওয়ার্ডপ্রেস.কম কে বাদ দিচ্ছি। শুধু ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ ও ব্লগস্পটই হবে আলোচনার বিষয় বস্তু। এখানে ওয়ার্ডপ্রেস.কম ও ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ নিয়ে জানতে পারবেন।
এখন মূল আলোচনা শুরু করি। দেখি কার জন্য কোনটি।
সাইটের ধরণ
আপনার সাইট কি ধরণের সেটিই এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম পয়েন্ট। যদি ব্যক্তিগত ব্লগ হয়, বা নির্দিষ্ট কয়েকজনের ব্লগ তবে ব্লগস্পটই উত্তম। কিন্তু যদি ব্লগটি সকলের জন্য উম্মুক্ত হয়, অর্থাৎ, যে কেউ রেজিস্টার করতে পারবে তবে ওয়ার্ডপ্রেসে যাওয়াই ভাল। প্রাতিষ্ঠানিক সাইটের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস আবশ্যক। সংবাদপত্রের জন্য কয়েকদিন আগেও ওয়ার্ডপ্রেসের বিকল্প ছিল না। তবে এখন ব্লগস্পটে অনেক চমৎকার টেমপ্লেট পাওয়া যায়। তাই এক্ষেত্রে আমার মতে দুটোই ব্যবহার করতে পারেন। ব্লগস্পট মানেই শুধু ব্লগ তৈরি হয় এমন নয়। তবে ব্লগ বাদে অন্যান্য বেশিরভাগ সাইট সাধারণত ওয়ার্ডপ্রেসে বেশি তৈরি হয়।
বাজেট
ব্লগস্পটে বিনামূল্যে ১ গিগাবাইট ইমেজ হোস্টিংসহ সাইট বানাতে পারবেন। আর যদি আপনার ইচ্ছা হয় সাইটটাই পেইড টেমপ্লেট ও ডোমেইন নিবেন তবে প্রায় ১৫ ডলার(১২০০ টাকা) থেকে ৩০ ডলার (২৪০০ টাকা) পর্যন্ত খরচ হবে। তবে ফ্রিতেও অনেক চমৎকার টেমপ্লেট পাবেন। আর বাঙালিদের জন্য সব ফ্রি একটু গুগল করলেই প্রায় সব পেইড টেমপ্লেট ফ্রিতে পাবেন। ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি ফ্রি হোস্টিং ও ডোমেইনে সাইট তৈরি করতে পারবেন, কিন্তু ভালো সার্ভিস পাবেন না। এজন্য পেইড হোস্টিং নেওয়া ভাল। অবশ্য ফ্রি হোস্টিং বায়েত হোস্টের সার্ভিস মোটামুটি ভালই। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে থিম ডেভেলোপ একটু কঠিন বলে পেইড থিম নিতে একটু ভাল বাজেট দরকার। ফ্রি থিমও অনেক আছে, কিন্তু ভাল থিমগুলোর জন্য খরচ করতে হবে। তবে আগেও যেটা বলেছি গুগল করলে ফ্রিতেই পাবেন, তবে একটা সুন্দর সাইট তৈরিতে এই কাজটা করা কি অনুচিৎ নয়? তাই, বাজেট একটু বেশি হলেই ওয়ার্ডপ্রেসে আসা উচিৎ। আর ফ্রি থিম ব্যবহার করলেও ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করা ভাল। এজন্য বছরপ্রতি আপনার হোস্টিং প্লানের উপর ভিত্তি করে প্রায় ১২০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। ব্লগস্পটেও .কম/.নেট./.অর্গ ইত্যাদি ডোমেইন কিনে যুক্ত করে দিতে পারেন। এজন্য বছরপ্রতি প্রায় ৮০০ টাকা খরচ হবে। তবে ডোমেইনভেদে ৬০০-২৫০০ পর্যন্ত হতে পারে।
আয়
উদ্দেশ্য যদি আয় করা হয়, তবে এডসেন্স নামক সোনার হরিণ ব্লগস্পটে পাওয়া কিঞ্চিত সহজ। এডসেন্স কিন্তু কখনই সহজে পাবেন না। তবে ওয়ার্ডপ্রেসের তুলনায় ব্লগস্পটে কিছুটা সহজে এডসেন্স পাওয়া যায়। তবে এজন্য দরকার মানসম্মত, ইংরেজি ভাষাতে করা ও ভিজিটর সমৃদ্ধ ব্লগ। এছাড়া অন্যান্য এড সার্ভিসের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার প্রভাব ফেলবে না।
দক্ষতা
বিগিনারদের জন্য ব্লগস্পট বেশি সহজ। সহজে এডিটেবল ও সুন্দর করে সাজানো যায়। বিগিনারদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস একটু কঠিন।
তাহলে এখন সিদ্ধান্ত নিন, আপনার জন্য কোনটি? এডসেন্স কিন্তু কখনই সহজে পাবেন না। তবে ওয়ার্ডপ্রেসের তুলনায় ব্লগস্পটে কিছুটা সহজে এডসেন্সওপাওয়া যায়। তবে এজন্য দরকার মানসম্মত, ইংরেজি ভাষাতে করা ও ভিজিটর সমৃদ্ধ ব্লগ। এছাড়া অন্যান্য এড সার্ভিসের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার প্রভাব ফেলবে না।
দক্ষতা
বিগিনারদের জন্য ব্লগস্পট বেশি সহজ। সহজে এডিটেবল ও সুন্দর করে সাজানো যায়। বিগিনারদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস একটু কঠিন।
তাহলে এখন সিদ্ধান্ত নিন, আপনার জন্য কোনটি?
Share:

এবার ছবি তুলেই আয় করুন অনলাইনে

ছবি তুলে আয় হবে এটা একটা অবিশ্বাস্য কথা, অনেকে এটাই মনে করতে পারে। আজ জানতে পারবেন কিভাবে অনলাইনে ছবি তুলে আয় করবেন।
হ্যা আপনার তোলা ছবির মাধ্যমে আপনি বেশ কিছু পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন । আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকেন তবে আপনার তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন বা কোথাও আপ্লোড করে আয় করতে পারেন এমন কি আপনার সাইটে পাব্লিস করেও গুগল এডসেন্স-এর সাহায্যে আয় করতে পারেন। তাহলে চলুন দেখা যাক কিভাবে ছবি তুলে আয় করা যায়ঃ
earn from mobile photography

ফটোগ্রাফি থেকে ইন্টারনেটে আয়
ছবি তুলে আয় করার উপায়
আপনার ফটোগ্রাফির শখ ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে আয় করা খুব কঠিন নয়। এমনকি একে পেশার বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। অনেকেই সেটা করেন। অনলাইনের অনেক ডিজাইনার্রা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন বা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন থেকে শুরু করে শিল্প মুল্যের কারনেও মানুষ ছবি কেনেন। আপনি তাদের নিকট আপনার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন । ইন্টারনেটে ছবি বিক্রির সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু ওয়েব সাইট । তাদের গ্যালারীতে আপনার ছবি জমা দিতে পারেন। বিক্রি হলে আপনি টাকা পাবেন।
আপনি নিজেই নিজের ওয়েবসাইট থেকে ছবি বিক্রি করতে পারেন। ছবি বিক্রি করার নিয়ম হচ্ছে যত ভাল ছবি তত বেশি টাকা। কিংবা বিপরীতভাবে, আপনার ছবির মান এমন হতে হবে যা মানুষ টাকা দিয়ে কিনতে আগ্রহি হবেন। তবে এজন্য প্রয়োজন উচুমানের ক্যামেরা, ফটোগ্রাফি বিষয়ে জ্ঞান এবং ছবি উঠানোর আগ্রহ।
ছবি তুলে আয় করতে সাহায্য করে এমন কিছু সাইটের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলঃ
http://www.istockphoto.com/
http://www.gettyimages.com/
http://www.jupiterimages.com/
http://www.fotolia.com/

ব্লগ থেকে আয়
আপনি ছবি উঠাতে ভালবাসেন কিন্তু ততটা দক্ষ নন তাই হয়ত ভাবছেন যে ছবি তুলে আয় আপনার পক্ষে সম্ভব না ।”না” চাইলে আপনিও ছবি তুলে আয় করতে পারবেন । এক্ষেত্রে আপনার জন্য আগের পদ্ধতি কার্যকর নয়।আপনাকে ছবি তুলে আয় করার জন্য ছবি বিক্রি করা প্রয়োজন নেই, বিনামুল্যের ব্লগ তৈরী করে সেখানে ছবিগুলি রাখুন। ছবির পরিমান যত বেশি ভিজিটর তত বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা। আপনার আয় সরাসরি ছবি থেকে আসবে না, আসবে ভিজিটর থেকে। ব্লগে গুগলের এডসেন্স, ফাষ্ট ২ আর্ন কিংবা এধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন রাখুন। ভিজিটর যত বাড়বে আয় তত বাড়বে।

ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার
ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলিতে আপনার জন্য বিশেষ আয় অপেক্ষা করছে, ছবি তুলে আয় করার অন্যতম একটা উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার । যদি লক্ষ্য করে দেখে থাকেন তাহলে হয়ত চোখে পড়েছে সেখানে ছবি ওঠানোর কাজ রয়েছে। কারো বিশেষ বিষয়ে ছবি উঠানো প্রয়োজন, আপনি ফ্রিল্যান্সা ফটোগ্রাফার হিসেবে সেই ছবি উঠিয়ে দিতে পারেন।
ছবি হোস্টিং সাথে টাকা আয় করুন ।
আপনার তোলা ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হোস্টিং করে (আপ্লোড করে ) বেশ টাকা আয় করতে পারেন ।
http://www.imageporter.com/ http://www.shutterstock.com
এমন বেশ কিছু সাইট আছে যার মাঝে সাটার স্টোক বেশ ভাল ও পরীক্ষিত । এছাড়া ছবি তুলে আয় করার আরো একটা সাইট হল ইমেজ পর্টার । আপনার একটি ছবির প্রতি ১০০০ ভিসিটের জন্যে ২.৬০ ডলার পর্যন্ত পে করে থাকে। আবার আপনি কাউকে রেফার করলে তার আয়ের ১০% আপনার একাউন্টে জমা হবে। তবে এই সাইটে মাঝে মাঝে এডান্ট এড থাকে।

প্রতিযোগিতা জিতে আয়
ফটোবাকেট হল এমন একটা সাইট যেখানে বিনামুল্যে ছবি এবং ভিডিও রাখা যায় অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য। সবসময়ই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অংশ নিয়ে পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই ছবি তুলে আয় করাটা বেশ মজারই বটে।
এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফটোগ্রাফি বা ছবি তুলে আয় এর কথা। এর বাইরে স্থানিয়ভাবেও ছবি তুলে আয় করার সুযোগ তো রয়েছেই। কারো প্রয়োজনে ছবি উঠানো থেকে শুরু করে ফটোগ্রাফিক ষ্টুডিও, সব ধরনের আয়ের জন্যই ফটোগ্রাফি আপনার একটি বিষয় হতে পারে।
Share:

কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেন

বর্তমানে অনেকেই জানে যে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা যায় কিন্তু সকলে সেই পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। কি করে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট বানাবে বা কি করে টাকা আয় করবে বা সেই টাকা কি করে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসবে সেটা নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন। আমি এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
earn frim youtube

প্রথম প্রশ্ন : কি করে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খুলব?
উত্তর : খুব সহজ, একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন। নিজের সঠিক নাম, বয়স এবং ফোন নম্বর দিয়ে। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগ ইন করুন। সেখানে ‘Create Channel’ পাবেন। তার মাধ্যমে নিজের চ্যানেল তৈরী করুন। একটা ভালো প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটো অ্যাড করুন। এবং আপনার নিজের ক্যামেরায় তৈরী যে কোনো ফুটেজ আপলোড করুন। ব্যস, আপনার ৫০ শতাংশ কাজ রেডি।

দ্বিতীয় প্রশ্ন : আমি ভিডিও আপলোড করেছি কিন্তু টাকা আসছে না।
উত্তর : টাকা উপার্জন করতে হলে আপনাকে আপনার ভিডিওটি ‘Monetized’ করতে হবে। ইউটিউবের Video Manager-এ ক্লিক করুন, বা-দিকে একটা লিস্ট আসবে সেখানে Channel-e ক্লিক করুন, সেখানে আপনি Monetization পাবেন। এখান থেকে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাকটিভ করতে হবে। (অ্যাকটিভ করার উপায়টি লিখে সঠিক বোঝানো সম্ভব নয়, নিজে থেকে চেষ্টা করুন এবং স্টেপগুলি ফলো করুন)।

তৃতীয় প্রশ্ন : আমি কি যেকোনো ভিডিও আপলোড করতে পারি?
উত্তর : আপনি আপলোড করতে পারবেন সব ভিডিও কিন্তু সব ভিডিও থেকে পয়সা উপার্জন করতে পারবেন না। আপনি অন্য কোনো সিনেমা বা টিভির থেকে নেওয়া ভিডিও বা অডিও , এমনকি আপনার ভিডিওর মধ্যেও যদি অন্য কারো ভিডিও বা অডিও থাকে তাহলে সেটাও মনেটাইজ হবে না, ইচ্ছে করলে ইউটিউব আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করে দিতে পারে এবং আর আপনি কখনই আপনার নিজের নামে ভবিষ্যতে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।

চতুর্থ প্রশ্ন : পাড়ার ফাংশানে একজন গায়ক গান গেয়েছে আমি তার ভিডিও নিয়েছি, সেটা কি আমি আপলোড করতে পারি?
উত্তর : এক্ষেত্রে ভিডিওটি আপনার নিজের কিন্তু যেহেতু অডিওটি অন্য কারো তাই আপনি সেটি থেকে উপার্জন করতে পারবেন না। জেনে রাখুন, অন্য কারো গান আপনি নিজে গেয়েছেন সেটাও কিন্তু ইউটিউব গ্রহণ করবে না।

পঞ্চম প্রশ্ন : কি ধরণের ভিডিও থেকে অর্থ উপার্জন সম্ভব?
উত্তর : এর কোনো সঠিক উত্তর নেই। রিসার্চ বলছে ইউটিউবে সব থেকে বেশী দেখা হয় সেক্স ভিডিও কিন্তু সেটা খুব রিস্কি। ইউটিউবের নজরে এলে বা কেউ যদি আপনার ভিডিও রিপোর্ট করে দেয় তাহলে আপনার চ্যানেল ব্লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও ইউটিউবে প্রচুর সেক্স ভিডিও দেখা যায় এবং সেগুলো বহাল তবিয়তে চলে। এক্ষেত্রে কিছু কোম্পানী-র ক্ষেত্রে ইউটিউব মাঝে মাঝে দেখেও না দেখার ভান করে। আপনার ভিডিওর সাথে ইউটিউব কি করবে সেটা একমাত্র ইউটিউবই বলতে পারবে। বেশী অর্থের লোভে অতিরিক্ত সেক্স ভিডিও আপলোড না করাই ভালো।

ষষ্ঠ প্রশ্ন : কত টাকা উপার্জন সম্ভব?
উত্তর : এরও কোনো সঠিক উত্তর নেই। ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের মূল উৎস হচ্ছে ভিউ। যে ভিডিও যত বেশী ভিউ হবে সে ভিডিও তত বেশী অর্থ উপার্জন করবে। তবে মোটামুটি ভাবে প্রতি হাজার মনেটাইজ ভিউতে ১ থেকে ৫ ডলার অবধি আয় সম্ভব।

সপ্তম প্রশ্ন : মনেটাইজ ভিউ কি ?
উত্তর : ধরা যাক আপনার ভিডিওটে যে অ্যাড আসে, সেটা ১ মিনিট-এর মাথায়। এবার আপনার ভিডিওটি ৫০০০ ভিউ হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জন হয়ত আপনার ভিডিও ১ মিনিটের কম দেখেছে। তাহলে ৫ হাজার ভিউ স্বত্তেও আপনার মনেটাইজ ভিউ হবে মাত্র ২ হাজার। মনেটাইজ ভিউ কত হয়েছে সেটা একমাত্র যার অ্যাকাউন্ট সেই দেখতে পারবে ‘Analytics’-এ ক্লিক করে।

অষ্টম প্রশ্ন : কবে থেকে টাকা আয় সম্ভব?
উত্তর : আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান অ্যাপ্রুভড হতে দুই থেকে তিন দিন লাগে। একবার অ্যাপ্রুভড হয়ে গেলেই আপনার আয় শুরু।

নবম প্রশ্ন : টাকা কবে থেকে পাব?
উত্তর : আপনার ইনকাম লেভেল যতদিন না ১০০ ডলার হচ্ছে ততদিন আপনি টাকা পাবেন না। ১০০ ডলার হলে আপনার বাড়িতে গুগল থেকে একটি চিঠি আসবে তাতে একটি কোড নম্বর থাকবে সেই কোড নম্বর দিয়ে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস দিতে হবে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক নেম, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নেম, সুইফট কোড ইত্যাদি। আপনার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট-এ আপনার নাম এবং ঠিকানা আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টের নামের সাথে মিল থাকতে হবে, নইলে এই টাকা আপনি পাবেন না। তাই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেই নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেখানে যে অ্যাড্রেস দেওয়া আছে সেটাই ব্যবহার করবেন।

দশম প্রশ্ন : কত তাড়াতাড়ি টাকা আসবে?
উত্তর : ইউটিউব মূলত একটা মাধ্যম যেখানে মানুষ নিজেদের ভিডিও শেয়ার করে। এই সাইটের প্রাথমিক লক্ষ টাকা উপার্জন নয়। তাই টাকা উপার্জন করব ভেবে যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন তাহলে আপনি নিরাশ হবেন। ইউটিউব থেকে টাকা পেতে আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। হতে পারে আপনার প্রথম টাকা পেতে পেতে এক বছর বা তার-ও বেশি লেগে গেল কিন্তু একবার টাকা আসা শুরু করলে এবং আপনার ভিডিও প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার ভিউ দিতে পারলে বিশ্বাস করুন আপনাকে আর কোনো চাকরী করতে হবে না।

শেষ প্রশ্ন : সকলেই কি টাকা আয় করতে পারে?
উত্তর : আঠারো বছরের যে কেউ তার নিজের মৌলিক ভিডিও দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারে। কিন্তু কার ভিডিও কত জনপ্রিয় হবে সেটা নির্ভর করছে কিছুটা আপনার দক্ষতা এবং আপনার ভাগ্যের উপর। প্রচুর মানুষ যারা নিজের পোষা বিড়ালের ছবি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছে আবার অনেকে আছে যারা পয়সা খরচ করে নিজেরা নানা রকম ভিডিও বানিয়েও এক ডলার আয় করতে পারছে না। তাই সঠিক ভাবে যদি আপনি আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা অসম্ভব নয়।
Share:

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কি এবং কেন?

ইন্টারনেটে রাজত্ব করতে চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর বিকল্প নাই। সাধারণত আমাদের সমাজে রাজত্ব করে কারা? খুবেই সোজা উত্তর যাদের জনবল, শক্তি ও অর্থ আছে। কিন্তু ইন্টারনেটে রাজত্ব করতে চাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর দক্ষতা। এবার কাজের কথায় আসি
what is seo


Search Engine Optimization (SEO) কি?
Search Engine Optimization কথাটির ভীতরে দুটি অর্থবহুল অংশ রয়েছে। একটি হচ্ছে Search Engine এবং অন্যটি হচ্ছে Optimization. তারমানে দাড়াচ্ছে SEO হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন-কে অপটিমাইজেশন করার এক ধরনের প্রযুক্তিগত ওয়েব কৌশল। এটিকে অন্যভাবেও বলা যায়- বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন হতে কোন একটি ব্লগ/ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের ভাল অবস্থানে অথবা প্রথম পাতায় নিয়ে আসার কৌশল বা প্রক্রিয়াকেই Search Engine Optimization বলা হয়। এটিকে সার্চ ইঞ্জিন হতে ভাল ফলাফল পাওয়ার এক ধরনের নিয়মতান্ত্রিক চালাকিও বলতে পারেন।

Search Engine কি?
সহজ ভাষায় বলা যায় সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে ইন্টারনেটে কীয়ার্ডের মাধ্যমে কোন কিছু খোঁজার এক ধরনের সফটওয়ার বা এপ্লিকেশন। যেখানে কোন কিছু লিখে সার্চ দিলেই চোখের পলকে যে কোন বিষয়ে হাজার হাজার তথ্য আপনার সামনে হাজির করবে। সম্প্রতি সময়ের সবচাইতে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে Google. এ ছাড়াও জনপ্রিয়তার তালিকায় রয়েছে Bing, Yahoo, Ask ও Yandex সার্চ ইঞ্জিন। এই সার্চ ইঞ্জিন কি এবং কিভাবে কাজ করে এ নিয়ে আমরা পূর্বে একটি বিস্তারিত পোষ্ট শেয়ার করেছি।

কেন SEO করা হয়?
একটি ব্লগ/ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের ভাল অবস্থানে বা প্রথম পাতায় নিয়ে আসার জন্য এবং সার্চ ইঞ্জিন হতে ভাল র্যাংকিং পাওয়ার জন্য বা সার্চ ইঞ্জিন হতে ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাওয়ার জন্য মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) করা হয়। একজন লোক যখন তার ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করবে তখন সার্চ ইঞ্জিন হতে তার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর বাড়তে থাকবে। কারণ Search Engine Optimization করার ফলে সার্চ ইঞ্জিন তার ব্লগের কনটেন্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা পাবে। কাজেই যে কোন ওয়েবসাইট-কে সফল করতে হলে বা ওয়েবসাইট হতে আয় করার জন্য প্রতিনিয়তই সঠিকভাবে তার ওয়েবসাইটটিকে Search Engine Optimization করতে হবে।

SEO কত প্রকার ও কি কি?
কাউকে যদি জিজ্ঞেস করেন SEO কত প্রকার, তাহলে যে কেউ On Page SEO ও Off Page SEO এর কথা বলবে। এসইও দুই প্রকারের কথাটি ঠিক আছে। তবে On Page ও Off Page নয়। SEO হচ্ছে মূলত দুই প্রকারের। যথাঃ ০১. অর্গানিক এসইও ০২. পেইড এসইও। অর্গানিক এসইও আবার দুই ধরনের। একটি হচ্ছে On Page SEO এবং অন্যটি হচ্ছে Off Page SEO.

অর্গানিক SEO এবং পেইড SEO কি?
অর্গানিক ‍এসইও বলতে বুঝায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সকল নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করে সার্চ রেজাল্টের পাতায় অবস্থান নেয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া। অন্যদিকে পেইড SEO হচ্ছে গুগল কোম্পানির নিকট টাকার বিনিময়ে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় চলে আসা। আপনারা ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, কোন একটি বিষয় সার্চ দেয়ার পর সার্চ রেজাল্টের সবার উপরের কিছু ওয়েবসাইট থাকে যেগুলিতে ছোট করে Ad লিখা থাকে। সেগুলিই Paid SEO এর মাধ্যমে সবার উপরে এসেছে। অন্যদিকে এগুলির নিচে সে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলি থাকে সেগুলিই অর্গানিক এসইও অর্থাৎ কোন টাকা না দিয়ে গুগলের পাতায় অবস্থান নিয়েছে।

On Page SEO ও Off Page SEO কি?
On Page SEO হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট/ব্লগকে পরিপূর্ণভাবে সাজানোর যাবতীয় কার্যক্রম অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটকে ভালভাবে তৈরি করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন হয় তার সবটুকুই হচ্ছে On Page SEO. আর Off Page SEO হচ্ছে আপনার ব্লগটির কনটেন্টের লিংক বিভিন্ন জনপ্রিয় সাইটে শেয়ার করা, ব্যাক লিংক তৈরী করা, বিভিন্ন ফোরামে জয়েন, ব্লগের প্রচারনাসহ ইত্যাদি উপায়ে জনপ্রিয় করে তোলা।

SEO এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। এক কথায় বলতে গেলে এভাবে বলা যায় অন-লাইন ব্লগিং, মার্কেটিং, ব্যবসার প্রচার ও অনলাইনে কোন বিষয়ে সফলতা অর্জনের জন্য SEO করতেই হবে। এসইও না করে কোনভাবেই অনলাইনের কোন বিষয়ে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন না। তার কারণ হচ্ছে- ইন্টারনেটে সবাই সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সকল বিষয় খোঁজে থাকেন। বিশেষকরে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার এত ব্যাপক, যার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না করে কোনভাবে সফল হওয়ার উপায় নেই। অধীকন্তু সম্প্রতি সময়ের জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার Mozilla Firefox ও Google Chrome সহ আরেক অনেক জনপ্রিয় Browsers গুলির ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন Google হওয়ার করনে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার আরও বেশী বেড়ে গেছে। কাজেই আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটটি সবার কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প আর কিছু নেই।

কিভাবে SEO করবেন?
কিভাবে SEO করবেন কথাটি শুনে হয়ত ভাবছেন এখনি সবকিছু জেনে যাবেন। আসলে কিভাবে SEO করতে হয় সেটির সহজ বা সংক্ষিপ্ত কোন উপায় নেই। SEO হচ্ছে চলমান গতানুগতিক পরিবর্তনশীল বিশাল একটি প্রক্রিয়া। যার বেশীরভাগ বিষয়ই সবসময় আপডেট ও পরিবর্তন হতে থাকে। তবে আপনি যদি SEO সম্পর্কিত বেসিক বিষয়গুলি ভালভাবে জানেন ও বুঝেন তাহলে সময়ের সাথে সাথে যতই পরিবর্তন হক না কেন পরিবর্তনের সবকিছুই আপনি সহজে বুঝতে পারবেন। সেই জন্য আপনাকে SEO এর মূল বিষয়গুলি অবশ্যই কোন ভাল একজন অভীজ্ঞ লোক বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে শিখে নিতে হবে।

কোথা হতে শিখবেন?
ভালভাবে SEO শিখার জন্য দুই ধরনের উপায় রয়েছে। একটি হচ্ছে কোন অভীজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে শিখে নেয়া এবং অন্যটি হচ্ছে অন-লাইন হতে ভালমানের বিভিন্ন ব্লগ/ওয়েবসাইট হতে শেখা। অন-লাইন হতে শেখার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর পরিমানে ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। অন্যদিকে কোন ভাল প্রতিষ্ঠান থেকে শেখার ক্ষেত্রে অল্প সময়ে শিখে নিতে পারবেন।
তবে একটা কথা মনে রাখবেন আপনি অন-লাইন বা যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে শিখুন না কেন অবশ্যই সেটি ভালমানের প্রতিষ্ঠান বা ভালমানের অল-লাইন ব্লগ হতে হবে। সম্প্রতি সময়ে SEO শেখানোর মত অনেক প্রতিষ্ঠানই হাতের কাছে রয়েছে, কিন্তু এদের মধ্যে ভালমানের প্রতিষ্ঠান পাওয়া খুব দুরূহ একটা ব্যাপার।

আপনি কি SEO শিখতে সক্ষম হবেন?
বেশীরভাগ লোকই এসইও বিষয়টাকে বেশ কঠিন ভেবে মনেকরে আমার দ্বারা এসইও শেখা সম্ভব হবে না। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলব বিষয়টাকে এত কঠিন না ভেবে সহজভাবে নিলে আপনিও একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন। বিশেষকরে পেইড এসইও এর কথা না ভেবে আপনি ঐ টাকাগুলি দিয়ে ভালভাবে এসইও শিখে নিলে আপনার ব্লগটাকে ভবিষ্যতে একটি ভালমানের প্লাটফর্মে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।
Share:

ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে যে দিকগুলো লক্ষ্য রাখবেন

উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়। এরকম মানুষের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে যারা ফ্রিল্যান্সিংকে তাদের জীবিকা হিসেবে নিচ্ছেন। প্রতিযোগিতাও বেড়েই চলেছে
আপওয়ার্ক , ফ্রিল্যান্সার ডটকম,
ফাইভার প্রভৃতি মার্কেটপ্লেসগুলোতে। বাংলাদেশেও গড়ে উঠেছে স্থানীয় মার্কেটপ্লেস বিল্যান্সার। এ পর্যায়ে এখানে সফলতা লাভ করতে আপনাকে অবশ্যই অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু কীভাবে? আজ আমরা সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পাঁচটি মুল পয়েন্ট আলোচনা করব।
before freelancing

১। নিজের সম্পর্কে জানাঃ
আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে মূলত তিন ধরণের মানুষ দেখা যায়। প্রথম প্রকারের মানুষ ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সিং করে। এরা মূলত পেশাদার যারা কিনা ডেস্ক জব পছন্দ করেন না। দ্বিতীয় প্রকারের মানুষ পার্টটাইম ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন। এরা নির্দিষ্ট পরিমাণ কিন্তু নিয়মিত কাজ করে থাকেন। আর তৃতীয় প্রকারের মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। এনারা চিন্তা করেন কোন ধরনের কাজ করা ঠিক হবে, ফুলটাইম নাকি পার্টটাইম কাজ করবেন, এমনকি আদৌ ফ্রিল্যান্সিং করবেন কিনা এরকম দ্বিধায়ও ভুগে থাকেন।
এধরণের মানুষ আসলেই বিপদজনক অবস্থায় আছেন।
আপনাকে এই তৃতীয় প্রকার দল থেকে বের হয়ে আসতে হলে প্রথমে নিজের যোগ্যতা, যে বিষয় আপনার আগ্রহ আছে তা, আপনার দুর্বলতা, আপনার নিজের পারদর্শিতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। মূলত দৃঢ় সংকল্প নিয়ে শুরু করলে বৈধ কোনো পেশাই মানুষের পক্ষে অসম্ভব নয়।

২। অপশন হাতে রাখাঃ
আপনি হয়তো এমন অনেককেই পাবেন যারা একটি মাত্র লক্ষ্যের পিছনে আছেন এবং সেটিকে তারা অর্জন করবেনই বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফ্রিল্যান্সিংয়ে এসে আপনি যদি এমন ভেবে থাকেন তবে আপনারও আরও বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ক্যারিয়ার কোন ‘মিশন’ না বরং এটি ‘ভিশন’এর থেকেও বড়। আশা করি ‘মিশন’ ও ‘ভিশন’ এর পার্থক্য আপনি বোঝেন। মিশন হল স্বল্পমেয়াদি আর ভিশন হল মিশন এর থেকে দীর্ঘমেয়াদি। যাইহোক, সবসময়ই ব্যাকআপ অপশন রাখা উচিৎ কেননা যেকোন একটি মার্কেটপ্লেস অথবা একজনমাত্র ক্লায়েন্টের উপর নির্ভর করা উচিৎ নয়। হয়তোবা আপনার বর্তমান ক্লাইন্ট খুব ভাল কিন্তু মনে রাখবেন তিনি চিরদিন থাকবেন না। আমার অভিজ্ঞতায় এমন লোকও দেখেছি যিনি কিনা শুধুমাত্র কাজের পারিশ্রমিক বারানোর কারণে তার ক্লাইন্ট হারিয়েছেন।
আসলে প্রতিযোগিতাপূর্ণ স্থানে রিস্ক ফ্যাক্টর খুব বেশি। এখানে অনেক কিছুই হতে পারে যেমন আপনার প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ, মার্কেটপ্লেস বন্ধ হতে পারে, আপনার একাউন্টে সমস্যা হতে পারে প্রভৃতি। আর এ কারণেই একের অধিক মার্কেটপ্লেস এর সাথে সংযুক্ত থাকুন, ক্লাইন্ট বাড়ান, নেটওয়ার্ক তৈরি করুন, নিজের পোর্টফলিও প্রোফাইল তৈরি করুন।

৩। সময়ের সঠিক ব্যবহারঃ
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সময় অতি মূল্যবান একটি সম্পদ। আপনার সময়কে সাজিয়ে নিন যাতে করে এর সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয়। টাইম ট্র্যাকার অ্যাপ ব্যবহার করুন। নোট নেয়ার জন্য এভারনোট, গুগল কিপ এর মত টুলস গুলোর সাহায্য নিন। সময় মত ক্লাইন্ট এর কাজ শেষ করুন। সময়ানুবর্তিতা এবং দায়িত্বশীলতা ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে খুবই জরুরি।

৪। ঠিক কাজটি নির্বাচন করাঃ
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক অসৎ লোকও রয়েছে। এজন্য কাজ নেয়ার আগে ক্লাইন্ট নির্ভরযোগ্য কিনা তা ভালভাবে যাচাই করে নিন। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা, ক্লাইন্ট এর রেটিং কিরকম আছে, ক্লাইন্ট এর ব্যাপারে অন্যদের রিভিউ কী বলে ইত্যাদি খেয়াল করুন। কাজ শেষ হয়ে গেলে ক্ল্যায়েন্ট পেমেন্ট নিয়ে লুকোচুরি খেললে সরাসরি সাপোর্টে যোগাযোগ করুন।

৫। নতুন জিনিস শেখাঃ
মৃত্যু পর্যন্ত নিজের দক্ষতাকে সামনের দিকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে থাকে। বিশ্বের সাথে আপডেট থাকা, স্কিল টেস্ট দেয়া, নতুন কম্যুনিটির সাথে যুক্ত হওয়া, আপনার জব ফিল্ড এর সাথে সম্পর্কিত নতুন বিষয়গুলো শেখা, কমিউনিকেশন এর দক্ষতা বাড়ানো ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে নজর দিন।
উপরের পাঁচটি ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে সফল হতে পারবেন। শুরুতেই যেমন বলেছি, ক্যারিয়ার অনেক বড় একটা বিষয়। নগদ ডলারের লোভে পড়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঝুঁকে পড়লে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা অনেক। তাই নিরাপদ অবস্থানে থেকে পরিশ্রম করলে আপনি সফল হওয়ার আশা করতে পারেন।
Share:

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অ্যান্ড্রয়েডে ৬টি সমস্যা এবং এর সমাধান

বর্তমানে আমরা কমবেশি সবাই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে থাকি। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যেমন জনপ্রিয়তা আছে তেমন এর বেশকিছু নিরাপত্তা সমস্যাও রয়েছে। আপনি চাইলেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখার ৬ উপায় সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব।
android mobile problem

১) অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পেসঃ
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে এর স্পেস। আপনি যত দামি ফোন ব্যবহার করেন না কেন, আপনার আরও বেশি যায়গার প্রয়োজন হবেই। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হাজার হাজার অ্যাপ এবং নানান ব্যবহার এর আভ্যন্তরীণ যায়গা অনেকটাই দখল করে ফেলে। তাই নিয়মিত ইন্টারনাল স্টোরেজ কিংবা ফোন মেমোরি থেকে অ্যাপ সমূহ এসডি কার্ডে স্থানান্তর করা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে ফোন মেমোরি অনেকটা খালি থাকবে। ফোন চলবে স্মুথলি। এছাড়া অনেক অ্যাপ আপনি ডিলিট করে দিলেও তার কিছু চেজ ফাইল আপনার ডিভাইসে থেকে যায়। এর ফলে ফোন অনেক স্লো হয়ে যায়। আপনি এসব চেজ ফাইল ডিলিট করতে চাইলে ক্লিন মাস্টার সিকিউরিটি ব্যবহার করতে পারেন যা দিয়ে চেজ ফাইল ডিলিট করে নিতে পারবেন।

২) র্যাম বুস্টারঃ
আপনার ডিভাইসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এর র্যাম। র্যাম কম ফ্রি থাকা মানেই ফোন স্লো করা হ্যাং হওয়া কিংবা লেগ হওয়া। তাই একটি ভালো মানের র্যাম বুস্টার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রেও ক্লিন মাস্টার আপনার এই চাহিদা মেটাতে পারবে। এর শটকাট উইজেট দিয়ে আপনি এক ক্লিকে র্যাম বুস্ট করে নিতে পারবেন।

৩) ড্রপডাওন ম্যানু ব্যবহারঃ
আপনি অনেক সময় নিয়ে ফোন ব্যবহারের ফলে আপনার ডিভাইসে অনেক অ্যাপ চলতে থাকে, আপনি হয়তো এসব অ্যাপ থেকে বেরিয়ে এসেছেন কিন্তু ব্যকগ্রাউন্ডে এসব অ্যাপ ঠিকি চলছে। ফলে ধিরে ধিরে আপনার ডিভাইসের পারফর্মেন্স কমতে থাকে। এর থেকে নিস্তার পেতে হলে আপনাকে যা করতে হবে ড্রপডাওন মেন্যু ব্যবহার করতে হবে। এক এক ডিভাইসে ড্রপডাওন মেন্যু এক এক রকম। তবে বেশিরভাগ ডিভাইসে হোম বাটন চেপে ধরলেই ড্রপডাওন মেন্যু আসে, এখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার ডিভাইসে এই মুহূর্তে কি কি অ্যাপ চালু আছে। আপনি শুধুমাত্র ডানে বামে সুইপ করে অ্যাপ সমূহ বন্ধ করে দিতে পারবেন।

৪) Bloatware:
এমন কিছু অ্যাপ আপনার ডিভাইসে ফ্যাক্টরি সেটাপ হিসেবেই দেয়া থাকে এদেরকেই বলে Bloatware। এসব অ্যাপ আপনি হয়ত কখনো ব্যবহার করবেন না, কিংবা আপনার কোন কাজে এসব অ্যাপ আসেনা। তাও আপনাকে এসব অ্যাপ নিয়েই থাকতে হবে। এমনকি আপনি যদি সেটা ফ্ল্যাশ করে নেন তাও এসব অ্যাপ আপনি বাদ দিতে পারবেন না। এসব অ্যাপ আপনার ডিভাইসের বাড়তি র্যাম, মেমোরি দখল করে রাখবে। আপনার ডিভাইস যদি রুট করা থাকে তবে আপনি খুব সহজে এসব অ্যাপ বাদ দিতে পারবেন। তবে রুট ছাড়া সেটে আপনার কি করণীয়? এক্ষেত্রে আপনি অ্যাপ সেটিংসে গিয়ে যে অ্যাপ আপনার কোনো কাজে লাগবেনা মনে করেন তাতে ক্লিক করে ডিজেব্যাল করে দিতে পারেন। এতে করে ওই অ্যাপ আপনার কোন সমস্যা করবেনা।

৫) crashes/freezing সম্পর্কেঃ
এমন অনেক ডিভাইসেই হয়ে থাকে, হঠাৎ ডিভাইস হ্যাং হয়ে আছে, কিংবা কোন অ্যাপ চলা অবস্থায় সেট এমন ভাবে হ্যাং হয়ে আছে দেখে মনে হবে একে কেও ফ্রিজে ঢুকিয়ে জমিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি? হ্যা এটা জানার আগে আপনার জানা উচিত কেনো এমন হয়? এবং যে কারণে এমনটা হয় তা পরিহার করা। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ফোরাম থেকে, সাইট থেকে সরাসরি এপিকে ডাউনলোড করে থাকি এবং তা ইন্সটল করে থাকি। এতে করে আমাদের ডিভাইসে নানান ক্ষতিকর ভাইরাস ঢুকে যায়। যা আপনার ডিভাইসে এক সাথে বেশ কিছু অ্যাপ চালাতে সমস্যা সৃষ্টি করে। সেটের মাল্টি টাস্কিং ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে আপনার উচিত সব সময় কোনো অ্যাপ ডাউনলোড এবং ইন্সটল করার সময় দেখে নেয়া ওই অ্যাপ এর রিক্স লেভেল কত! হাই রিক্স এর কোন অ্যাপ আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন। গুগোল প্লে স্টোরে অ্যাপ রিক্স দেখার অনেক অ্যাপ আপনি পাবেন। যেমন Clueful app তেমন একটি অ্যাপ।

৬) ব্যাটারি লাইফঃ
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ ব্যাটারি লাইফ কম পাওয়া। হবেনা কেনো? এত এত প্রোগ্রাম চলতে নিশ্চয়ই ব্যাটারি বেশি লাগবেই। আর স্মার্টফোনে যদি আপনি থ্রি জি ব্যবহার করেন তবে খুব কম ফোনেই দৈনিক একবার চার্জ দিয়ে চালানো সম্ভব। আপনাকে দৈনিক দুইবার চার্জ দিতেই হবে। আপনি ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ব্যাটারি ডক্টর নামের অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক সুবিধা পাবেন যার সাহায্যে আপনি ব্যাটারি লাইফ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
Share:

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কোড সংগ্রহে রাখুন কাজে লাগবে

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বেশ কিছু লুকানো সেটিংস রয়েছে, ব্যবহারকারীরা চাইলেই ‘সিক্রেট কোড’ ব্যবহার করে লুকানো সেসব সেটিংসে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। সবগুলো কোডের জন্যই ব্যবহারকারীকে ফোন অ্যাপে কোডটি টাইপ করে কল বাটন চাপতে হবে।
android hidden code


ঠিক যে মেনুটি ব্যবহারকারী দেখতে চাচ্ছেন অধিকাংশ কোডই তা খুলতে সাহায্য করবে। তবে ‘এক্সট্রিম ফ্যাক্টরি রিসেট অপশন’ সঙ্গে সঙ্গে চালু হয়ে যাবে। আবার অনেক কোড কাজ করবে না এমনটাও হতে পারে বলেও আগাম সতর্কবার্তা জানিয়েছে বিলেতি দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক কোডগুলো সম্পর্কে-

অন্যদিকে *#*4636#*#* কোডটিকে আইফোনের সিক্রেট মোড-এর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। কারণ এটি এই কোড দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীকে তার ফোন এবং ব্যাটারি সম্পর্কিত নানা তথ্য দেখিয়ে দেবে অ্যান্ড্রয়েড ওএস। যেমন, ব্যাটারি কতটুকু খরচ হয়েছে, কোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে ফোনটি সংযুক্ত ইত্যাদি। তবে ফোনের উপর নির্ভর করবে ঠিক কোন তথ্যগুলো ব্যবহারকারীকে দেখানো হবে।

*#*#7594#*#* কোডটির মাধ্যমে বেশ কিছু অপশন দেথা যাবে এবং সেগুলো থেকে ব্যবহারকারী দীর্ঘসময় পাওয়ার বাটন চেপে ধরে রাখলে ঠিক কী হবে তা ঠিক করে দিতে পারবেন। সাধারণত পাওয়ার বাটন চাপার পর অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীকে ফোন বন্ধ করার অপশন থেকে শুরু করে অ্যারোপ্লেন মোড এবং সাইলেন্ট করে রাখার বিষয়টি দেখানো হয়, ব্যবহারকারী সেখান থেকে যেকোনো একটি বেছে নেন। কিন্তু এই কোডের মাধ্যমে ব্যবহারকারী যেকোনো একটি অপশন ঠিক করে দিতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ব্যবহারকারী চাইলে সেটিংস পরিবর্তন করে ‘সরাসরি ফোন বন্ধের’ বিষয়টি ঠিক করে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে এরপর থেকে পাওয়ার বাটন চাপার সঙ্গে সঙ্গে ফোন বন্ধ হয়ে যাবে।

এ ছাড়াও ফোনে যদি আরও বেশি পরিবর্তন আনার ইচ্ছা থাকে, তাহলে *2767*3855# ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। কোডটি সেটিংস রিসেট থেকে শুরু করে ইন্টারনাল স্টোরেজের সব কিছু তো মুছে ফেলবেই, বাড়তি হিসেবে ফোনের ফার্মওয়্যারও পুনরায় ইনস্টল করবে।

আবার *#*#7780#*#* কোড টাইপ করে ফোনের সম্পূর্ণ ‘ফ্যাক্টরি ডেটা রিসেট’ চালু করে ফেলতে পারবেন ব্যবহারকারী। তবে কোডটি সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট, কারণ কোডটি সফলভাবে অ্যাক্টিভেট করার পর, এটি ফোন থেকে সব সিস্টেম ডেটা, আগের সেটিংস এবং অ্যাপস মুছে ফেলবে। ফোনে গুরুতর কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা ঠিক করার জন্য ব্যবহারকারীরা এই কোড ব্যবহার করতে পারেন।
Share:

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ব্লগার থেকে ব্লগ তৈরি এবং ডিজাইন করা

আস্-সালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন।

আমরা যারা সাধারন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছি তারা প্রত্যেকেই নিজের জন্য একটা নিজস্ব ওয়েব-সাইট প্রত্যাশা করি। তবে সে-সমস্থ নিয়ম-কানুন না জানার কারনে আমাদের অনেকেই হয়তো সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনা। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী তো আরো বেশি দুরে আছি। অথচ আমরা অ্যান্ড্রয়েড থেকে ব্লগারে ব্লগ সাইট খুলে ডিজাইন করতে পারি।

যাইহোক, তারই জের ধরে আমি আপনাদের জন্য সহজ প্রণালীতে কিভাবে ওয়েব সাইট তৈরি করা যায় তার পুরো প্রকৃয়া নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। আশা করি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমার সঙ্গেই থাকবেন।
প্রকৃতপক্ষে ওয়েবসাইট পরিচালনা করা একটি বিশাল ব্যাপার। যা আমাদের মত সাধারন ব্যবহারকারীদের পক্ষে এর সামগ্রীক খরচ বহন করা সম্ভব নয়। কারন এতে ডোমেইন, হোস্টিং সহ বিভিন্ন খরচ যুক্ত রয়েছে। তাই আমাদের ফ্রী কোন সার্ভিস ব্যবহার করাই শ্রেয় হবে।
কিন্তু সবচেয়ে খুশির ব্যাপারটি হল এই যে, আমাদের কথা বিবেচনা করে গুগুল এবং ওয়ার্ডপ্রেস এই ধরনের ফ্রী সার্ভিস চালু করেছে। যদিও এসব ক্ষেত্রে অনেক শিথিলতা আরোপ করা হয়েছে তারপরও আমরা তাদেরকে এধরনের সার্ভিস চালু করার জন্য সাধুবাদ জানাই।
আমরা প্রথমে গুগুল ব্লগ দিয়ে শুরু করি কেননা এটা ওয়ার্ডপ্রেস এর চেয়ে অনেক সহজে তৈরি করা যায়। পরবর্তীতে আমরা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় সে বিষয়ে দেখব।
গুগুল ব্লগে অনেক কিছুরই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যাইহোক, তারপরও আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করব আমাদের সাইট টি কে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য। তবে আপনাদের কে অবশ্যই প্রতিটি পর্ব ভালো করে দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী অনুসরন করতে হবে।
অনেক কথা হলো। এবার আমরা কাজের প্রসঙ্গে আসি।
গুগুল ব্লগ তৈরি করার জন্য আমাদের প্রথমে একটা জিমেইল আইডি’র প্রয়োজন হবে।
যাদের নেই তারা এক্ষুনি gmail.com
এড্রেস-এ গিয়ে জিমেইল আইডি টি খুলে নিন এবং সাথে সেই আইডিতে গুগল প্লাস খুলুন।
আর যাদের রয়েছে তাদের নতুন করে আইডি খোলার প্রয়োজন নেই। তবে হ্যা মন চাইলে নতুন আইডি দিয়েও ব্লগ সাইট টি খুলতে পারেন।
যাইহোক, এবার আপনারা নিচের ধাপসমূহ অনুসরন করুন।
প্রথমে আপনি www.blogger.com এ যান। তারপর আপনার জিমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্লগারে সাইন ইন করুন।
blog on android
নতুন পেজটি তে আপনাকে স্বাগতম জানানো হবে। যাইহোক আপনি উক্ত পেজের নিচের অংশে যান। তারপর,
“ব্লগারে অবিরত রাখুন” অথবা “” এ ক্লিক করুন।
blog on android
নতুন পেজটি ওপেন হলে “নতুন ব্লগ” বা “New blog” এ ক্লিক করুন।
“নতুন ব্লগ” এ ক্লিক করার পর পেজটি নিচের ছবিটির মত দেখাবে
blog on android
১. এবার আপনি শিরোনাম বা title -এ, আপনার ব্লগ সাইটের টাইটেল নামটি দিন।
২. ঠিকানা বা address -এ, আপনার ব্লগ সাইট টি যে নামে খুলতে চান সে নামটি দিন।
৩. টেমপ্লেটের তালিকা থেকে যেকোন একটি টেমপ্লেট নির্বাচন করুন।
উপরের কাজগুলো শেষ হলে এবার “ব্লগ তৈরি করুন!” লিখাটি-তে ক্লিক করে ব্লগটি সম্পন্ন করুন। ব্যাস আপনার ব্লগটি তৈরি হয়ে গেল। এবার আপনার এড্রেসবারে ব্লগের নাম টাইপ করে এন্টার করলে আপনার ব্লগ দেখতে পাবেন। পরবর্তিতে দেখানো হবে কিভাবে আপনার ব্লগটি ডিজাইন করবেন। ধন্যবাদ
Share:

Search

Blog Archive