Technology Dunia....

ইভেন্ট ব্লগ কি, কেন এবং কিভাবে শুরু করবেন

আসসালামু আলাইকুম,
আজ আমরা ইভেন্ট ব্লগিং এর উপর আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি। অনেকে হয়তো ভাববেব যে ইভেন্ট ব্লগিং আবার কি জিনিস। এটি হওয়ার প্রধান কারণ হল আমাদের দেশে ইভেন্ট ব্লগারের সংখ্যা অনেক কম আর এই সংক্রান্ত লেখাও বাংলায় খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই এই উদ্যোগটা নিলাম। এই বিষয়ে আপনাদের যে কোন মতামত, পরামর্শ কিংবা যে কোন প্রশ্ন সাদরে গ্রহণযোগ্য। তো চলুন, শুরু করা যাক।
event bloging

ইভেন্ট ব্লগ কি?
ইভেন্ট ব্লগ কে আমরা সল্পমেয়াদী ব্লগ বলতে পারি। যা নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্যেই করা হয়। তবে অনেক সময় তা ১-৭ দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। এই ইভেন্ট ব্লগ গুলো করা হয় মূলত কিছু বিশেষ বিশেষ দিনকে টার্গেট করে কিছু বিশেষ নিশ বা টপিক নিয়ে। যেমন ধরুন Happy New Year 2017, Valentines Day 2016। এই ধরণের নিশ এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট দিনেই প্রচুর সার্চ পরে। আর এই ধরণের নিশ থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট দিনে অনেক বেশী ইনকামও করতে পারবেন। আমাদের সামনে 16 December এবং Happy New Year 2017 আসতেছে। Happy New Year 2017 কিংবা 16 December নিয়ে সাইটে বা ব্লগে যদি কিছু আর্টিকেল লিখা হয় তাহলে কেমন হবে। কারণ ওইসব দিনে ওইসব বিষয়েই বেশি সার্চ করে মানুষ।
এই রকম বেশ কিছু টপিক আছে যেগুলো একটি নির্দিষ্ট দিনে সার্চের পরিমাণ বেড়ে যায়, সেই ধরণের নিশ গুলোকে আমরা ইভেন্ট বেসড নিশ বলি। আর যারা এই ধরনের টপিক নিয়ে ব্লগ করে, তাদের ব্লগ গুলো কে আমরা ইভেন্ট নিশড ব্লগ বলতে পারি, আর তাদেরকে ইভেন্ট ব্লগার বলি। এই হচ্ছে ইভেন্ট ব্লগিং এর সংজ্ঞা।

ইভেন্ট ব্লগ কেন করবেন?
এটা অনেক ব্লগারেরই প্রশ্ন, কেন ইভেন্ট ব্লগ করবো? এটার এমন কি সুবিধে আছে? তো আসুন, আমরা একটু জেনে নেই এই ইভেন্ট ব্লগের সুবিধে গুলো কি কি? কেন আপনি ইভেন্ট ব্লগ করবেন? ইভেন্ট ব্লগে ইভেন্টের দিনে আপনি হিউজ পরিমান ট্র্যাফিক পাবেন। যা আপনার রেগুলার ব্লগের চেয়েও অনেক অনেক গুণ বেশি।
আপনি খুব অল্প সময়ে ইভেন্ট ব্লগের মাধ্যমে বেশী ইনকাম করতে পারবেন।
ইভেন্ট ব্লগিং করা অনেক সহজ আর খুবই অল্প সময় লাগে।
আপনি ইভেন্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ কিংবা টুইটারের Follower বাড়াতে পারবেন খুব সহজেই। যা আপনার ইনকামের পাশাপাশি বোনাস হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
এটা সম্পূর্ণ বৈধ এবং এখানেও আপনাকে Quality Content দিয়েই শুরু করতে হবে।
এই ধরণের ব্লগে আপনি এ্যাডসেন্স থেকেই অনেক ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি গুগল এ্যাডসেন্স এর সাথে ব্যবহার করা যায় এমন অন্যান্য নেটওয়ার্ক থেকেও ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু, এই ইভেন্ট ব্লগ শুধুমাত্র ইভেন্টের দিনেই আপনাকে রেভেনিউ দিতে পারবে। এরপর এই সাইট আপনার ইনকামের ক্ষেত্রে কোন কাজেই আসে না। এই সাইটের ভিজিটরও দেখবেন শূন্যের কোঠায় গিয়ে থামবে। অনেক ব্লগারই আছেন, যারা তাদের ইভেন্ট ব্লগ কে ইভেন্টের পর SEDO তে পার্ক করে দেন। কিন্তু, আপনি চাইলে এই ব্লগকে ব্যবহার করতে পারেন। আসুন, একটু জেনে নেই ইভেন্ট ব্লগ এর ক্ষেত্রে ইভেন্টের পর এই ব্লগ দিয়ে আপনি আরও কি কি করতে পারবেন?
কোন কোন নিশ নিয়ে ইভেন্ট ব্লগ করা যায়?
এখানে সংক্ষেপে কিছু ইভেন্ট বেসড নিশের আইডিয়া দিচ্ছি। সেগুলো দিয়ে আপনি ইভেন্ট ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন, এছাড়া আপনিও আপনার পছন্দের নির্দিষ্ট নিশ নির্বাচন পারেন,
Happy New Year
Valentine’s Day
Halloween Day
Independence Day
Good Friday
Father Day
Mother Day
Christmas Day
Exam Result
Festivals(Eid, Holi, Raksha Bandan)
Cricket (IPL, BPL, ICC etc.)
Fotball/FIFA

ইভেন্টের শেষে কি করবেন?
সবার আগে আপনি আপনার এই ইভেন্ট ব্লগ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাটুকুর কথা ভাবুন। এই অভিজ্ঞতাই আপনাকে পরবর্তী ইভেন্টের ব্যাপারে মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে তুলবে। তাই এই ধরণের ব্লগ থেকে অভিজ্ঞতা একটা বড় পাওয়া।
এই ইভেন্টের কন্টেন্ট গুলোও আপনি পরবর্তী (একই নিশের উপর যদি হয়) ইভেন্টেও ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ইভেন্ট থেকে পাওয়া ফেসবুক পেজের লাইক কিংবা টুইটার Follower দের কেও আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। অনেকেই আছেন, যারা ইভেন্ট এর দিনে ই-মেইল সংগ্রহ করে। যা দিয়ে তারা পরবরতীতে CPA Offer পাঠায় এছাড়াও বিভিন্ন প্রমোশনমুলক কাজে ব্যবহার করে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই ইভেন্ট ব্লগকে কে সফল করতে আপনার অনেক বেশি পরিমান ব্যাকলিঙ্ক করতে হয়, যা পরবর্তী ইভেন্টের জন্যে আপনি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।
আপনি চাইলে ব্লগের টপিক নিশের সাথে মিল রেখে কিছুটা পরিবর্তনও করতে পারেন। এতে করে আপনার রেগুলার ভিজিটরও পাবেন।
Share:

4 comments:

  1. অনেক সুন্দর লিখছেন। gorovai.com আমান সাইট আশা করি ঘুরে আসবেন।

    ReplyDelete
  2. ইভেন্ট ব্লগ নিয়ে এর আগে কখনো ভাবি নি। এই ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে।

    ReplyDelete
  3. লেখাটি ভালো লেগেছে।

    ReplyDelete
  4. ব্লগ হলো একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ যেখানে ব্যক্তিগত লেখা, অভিজ্ঞতা, মতামত বা তথ্য শেয়ার করা হয়। ব্লগ বানানোর জন্য প্রায়শই প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, টাম্বলার, স্কোয়ারস্পেস এবং মনো অন্যান্য পরিচিত প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করা হয়। ব্লগ থেকে কীভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়। ব্লগ হলো একটি সাধারণ ওয়েবসাইটের মত যেখানে বিভিন্ন উপাদান সংযোজন করে সম্পাদনা করা হয়, যেমন লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি। অল্প পরিশ্রম ও ব্যক্তিগত সময় নিয়ে ব্লগিং শুরু করা যায়।

    ReplyDelete

Search

Blog Archive