Technology Dunia....

মোবাইল ও কম্পিউটারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখুন

সবাই আমার সালাম নিবেন। আশা করি আল্লাহর কৃপায় সবাই ভালো আছেন। আজ আমি কম্পিউটারের এমন কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব যা প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত। তথ্য গুলো খুবই কাজের। অনেকের এ তথ্যগুলো জানা থাকতে পারে। আবার অনেকে জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্য আমার এই টিউন। যারা কম্পিউটারে নতুন + এ তথ্যগুলো জানেন না তাদের আশা করি এ তথ্যগুলো ১০০% কাজে লাগবে। তাহলে চলুন আর কথ্য না বাড়িয়ে আমরা এই জটিল তথ্য গুলো জেনে নেই।
mobile computer information

কম্পিউটার মানে কি ?
কম্পিউটার এর মনিটরে অস্থায়ীভাবে বর্ণ, সংখ্যা, বিশেষ ধরনের অক্ষর, ছবি, চিত্র ইত্যাদিকে কম্পিউটার গ্রাফিক্স বলে।

Pixel কাকে বলে ?
কম্পিউটারের স্ক্রিনে আমরা যে ছবি দেখি তা অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোক বিন্দু নিয়ে গঠিত। এসব আলোক বিন্দুর প্রতিটিই এক একটি Pixel|

রেজোলুশন (Resolution) কি ?
মনিটরের পর্দায় হরাইজন্টাল ও ভ্যার্টিক্যাল বরাবর মোট পিক্সেলের সংখ্যাকে রেজুলেশন বলে। প্রকৃত পক্ষে মনিটরের অনুভূমিক ও উল্লম্ব বরাবর পিক্সেলের সংখ্যাই রেজোলুশনের পরিমাপ।

পিক্সেলের ভূমিকা
গ্রাফিক্স তৈরির ক্ষেত্রে কোন ছবি বা গ্রাফিক্সের পিক্সেল সংখ্যা যত বেশি হবে ছবিটি দেখতে তত বেশি সুন্দর, সুস্পষ্ট, আকর্ষণীয়, জীবন্ত ও বাস্তব প্রকৃতির হবে। বিপরীতক্রমে পিক্সেল সংখ্যা কম হলে ছবিটি দেখতে ঝাপসা ও অস্পষ্ট দেখা যাবে।

ডাটা (Data) কি ?
ডাটার আভিধানিক অর্থ হল উপাত্ত। সাধারণ অর্থে ডাটা বলতে কোন কিছুর মান (Value) অথবা দলীয় মানকে বুঝায়।

মেমোরি কি ?
যে যন্ত্রাংশের মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত, ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তাকে কম্পিউটারের ভাষায় মেমোরি বা স্মৃতি বলে।

মেমোরির প্রকারভেদ
মেমোরি সাধারণ ২ প্রকার।
(১) প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি)
(২) সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি)
(১) প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি): কম্পিউটারের সিপিইউ এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত যে স্মৃতি চলমান প্রোগ্রাম, ডাটা, নির্দেশ হিসেবের ফলাফল ইত্যাদি সংরক্ষণ করে তাকে প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি) বলে। যেমন: র্যাম, রম।
প্রাইমারী মেমোরি (মেইন মেমোরি) আবার ২ প্রকার।
(ক) র্যাম (RAM): র্যাম (RAM) কম্পিউটারের একটি অস্থায়ী মেমোরি যার ডাটা কম্পিউটার বন্ধ হলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলে ডিলেট হয়ে যায়।
(খ) রম (ROM): কম্পিউটারের একটি স্থায়ী মেমোরি যার ডাটা কম্পিউটার বন্ধ হলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলেও ডিলেট হয়ে যায় না।
(২) সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি): কম্পিউটারের যে স্মৃতি ব্যবস্থার সাথে সিপিইউ এর প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকে না কিন্তু অধিক পরিমান তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে যে স্মৃতি ব্যবস্থা তাকে সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি) বলে। যেমন: হার্ড ডিক্স, ফ্লপি ডিক্স, সিডি ইত্যাদি।
সেকেন্ডারী মেমোরি (সহায়ক মেমোরি) আবার ৪ প্রকার
(ক) H.D.D (হার্ড wW•): হার্ড ডিক্স কম্পিউটারের একটি বৃহৎ ষ্টোরেজ ডিভাইস। হার্ড ডিক্সে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার থাকে এবং সকল সফটওয়্যার গুলোও হার্ড ডিক্সে ইন্সষ্টল করা থাকে। খুব দ্রুত ফাইল সংরক্ষণ করে এবং স্থায়ী মেমোরি।
(খ) F.D.D: সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যা দ্বারা কম্পিউটারের ডাটা, প্রোগ্রাম, সফটওয়্যার ইত্যাদি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে অতি সহজে স্থানান্তর করা যায়।
(গ) CD/DVD: সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যাতে অডিও, ভিডিও, ছবি, ফাইল, সফটওয়্যার ইত্যাদি সব কিছুই রাখা যায় এবং প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করা যায়।
(ঘ) Pen Drive: পেনড্রাইভ হচ্ছে সহজে বহন যোগ্য এক প্রকার মেমোরি। যাতে অডিও, ভিডিও, ছবি, ফাইল, সফটওয়্যার ইত্যাদি সব কিছুই রাখা যায় এবং প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করা যায়। বলতে পারে প্রায় CD/DVD এর মতই।
স্মৃতির ধারণ ক্ষমতা
কম্পিউটারের স্মৃতির ধারণ ক্ষমতার পরিমাপের একক হিসেব বিট শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বাইনারি b¤^i পদ্ধতিতে অংক ০ এবং ১ কে বিট বলে।
৮ বিট = ১ বাইট
১০২৪ বাইট = ১ কিলো বাইট
১০২৪ মেগাবইট = ১ গিগা বাইট
১০২৪ গিগা বাইট = ১ টেরা বাইট
১০২৪ টেরা বাইট = ১ পেটা বাইট
সবাইকে অসংখ্যা ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য
Share:

1 comments:

Search

Blog Archive