Technology Dunia....

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অ্যান্ড্রয়েডে ৬টি সমস্যা এবং এর সমাধান

বর্তমানে আমরা কমবেশি সবাই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে থাকি। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যেমন জনপ্রিয়তা আছে তেমন এর বেশকিছু নিরাপত্তা সমস্যাও রয়েছে। আপনি চাইলেই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন নিজের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখার ৬ উপায় সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব।
android mobile problem

১) অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্পেসঃ
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে এর স্পেস। আপনি যত দামি ফোন ব্যবহার করেন না কেন, আপনার আরও বেশি যায়গার প্রয়োজন হবেই। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের হাজার হাজার অ্যাপ এবং নানান ব্যবহার এর আভ্যন্তরীণ যায়গা অনেকটাই দখল করে ফেলে। তাই নিয়মিত ইন্টারনাল স্টোরেজ কিংবা ফোন মেমোরি থেকে অ্যাপ সমূহ এসডি কার্ডে স্থানান্তর করা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে ফোন মেমোরি অনেকটা খালি থাকবে। ফোন চলবে স্মুথলি। এছাড়া অনেক অ্যাপ আপনি ডিলিট করে দিলেও তার কিছু চেজ ফাইল আপনার ডিভাইসে থেকে যায়। এর ফলে ফোন অনেক স্লো হয়ে যায়। আপনি এসব চেজ ফাইল ডিলিট করতে চাইলে ক্লিন মাস্টার সিকিউরিটি ব্যবহার করতে পারেন যা দিয়ে চেজ ফাইল ডিলিট করে নিতে পারবেন।

২) র্যাম বুস্টারঃ
আপনার ডিভাইসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এর র্যাম। র্যাম কম ফ্রি থাকা মানেই ফোন স্লো করা হ্যাং হওয়া কিংবা লেগ হওয়া। তাই একটি ভালো মানের র্যাম বুস্টার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রেও ক্লিন মাস্টার আপনার এই চাহিদা মেটাতে পারবে। এর শটকাট উইজেট দিয়ে আপনি এক ক্লিকে র্যাম বুস্ট করে নিতে পারবেন।

৩) ড্রপডাওন ম্যানু ব্যবহারঃ
আপনি অনেক সময় নিয়ে ফোন ব্যবহারের ফলে আপনার ডিভাইসে অনেক অ্যাপ চলতে থাকে, আপনি হয়তো এসব অ্যাপ থেকে বেরিয়ে এসেছেন কিন্তু ব্যকগ্রাউন্ডে এসব অ্যাপ ঠিকি চলছে। ফলে ধিরে ধিরে আপনার ডিভাইসের পারফর্মেন্স কমতে থাকে। এর থেকে নিস্তার পেতে হলে আপনাকে যা করতে হবে ড্রপডাওন মেন্যু ব্যবহার করতে হবে। এক এক ডিভাইসে ড্রপডাওন মেন্যু এক এক রকম। তবে বেশিরভাগ ডিভাইসে হোম বাটন চেপে ধরলেই ড্রপডাওন মেন্যু আসে, এখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার ডিভাইসে এই মুহূর্তে কি কি অ্যাপ চালু আছে। আপনি শুধুমাত্র ডানে বামে সুইপ করে অ্যাপ সমূহ বন্ধ করে দিতে পারবেন।

৪) Bloatware:
এমন কিছু অ্যাপ আপনার ডিভাইসে ফ্যাক্টরি সেটাপ হিসেবেই দেয়া থাকে এদেরকেই বলে Bloatware। এসব অ্যাপ আপনি হয়ত কখনো ব্যবহার করবেন না, কিংবা আপনার কোন কাজে এসব অ্যাপ আসেনা। তাও আপনাকে এসব অ্যাপ নিয়েই থাকতে হবে। এমনকি আপনি যদি সেটা ফ্ল্যাশ করে নেন তাও এসব অ্যাপ আপনি বাদ দিতে পারবেন না। এসব অ্যাপ আপনার ডিভাইসের বাড়তি র্যাম, মেমোরি দখল করে রাখবে। আপনার ডিভাইস যদি রুট করা থাকে তবে আপনি খুব সহজে এসব অ্যাপ বাদ দিতে পারবেন। তবে রুট ছাড়া সেটে আপনার কি করণীয়? এক্ষেত্রে আপনি অ্যাপ সেটিংসে গিয়ে যে অ্যাপ আপনার কোনো কাজে লাগবেনা মনে করেন তাতে ক্লিক করে ডিজেব্যাল করে দিতে পারেন। এতে করে ওই অ্যাপ আপনার কোন সমস্যা করবেনা।

৫) crashes/freezing সম্পর্কেঃ
এমন অনেক ডিভাইসেই হয়ে থাকে, হঠাৎ ডিভাইস হ্যাং হয়ে আছে, কিংবা কোন অ্যাপ চলা অবস্থায় সেট এমন ভাবে হ্যাং হয়ে আছে দেখে মনে হবে একে কেও ফ্রিজে ঢুকিয়ে জমিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি? হ্যা এটা জানার আগে আপনার জানা উচিত কেনো এমন হয়? এবং যে কারণে এমনটা হয় তা পরিহার করা। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ফোরাম থেকে, সাইট থেকে সরাসরি এপিকে ডাউনলোড করে থাকি এবং তা ইন্সটল করে থাকি। এতে করে আমাদের ডিভাইসে নানান ক্ষতিকর ভাইরাস ঢুকে যায়। যা আপনার ডিভাইসে এক সাথে বেশ কিছু অ্যাপ চালাতে সমস্যা সৃষ্টি করে। সেটের মাল্টি টাস্কিং ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে আপনার উচিত সব সময় কোনো অ্যাপ ডাউনলোড এবং ইন্সটল করার সময় দেখে নেয়া ওই অ্যাপ এর রিক্স লেভেল কত! হাই রিক্স এর কোন অ্যাপ আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন। গুগোল প্লে স্টোরে অ্যাপ রিক্স দেখার অনেক অ্যাপ আপনি পাবেন। যেমন Clueful app তেমন একটি অ্যাপ।

৬) ব্যাটারি লাইফঃ
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ ব্যাটারি লাইফ কম পাওয়া। হবেনা কেনো? এত এত প্রোগ্রাম চলতে নিশ্চয়ই ব্যাটারি বেশি লাগবেই। আর স্মার্টফোনে যদি আপনি থ্রি জি ব্যবহার করেন তবে খুব কম ফোনেই দৈনিক একবার চার্জ দিয়ে চালানো সম্ভব। আপনাকে দৈনিক দুইবার চার্জ দিতেই হবে। আপনি ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে ব্যাটারি ডক্টর নামের অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক সুবিধা পাবেন যার সাহায্যে আপনি ব্যাটারি লাইফ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
Share:

0 comments:

Post a Comment

Search

Blog Archive