Technology Dunia....

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি? কিভাবে শুরু করবেন?

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তরুণদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যদিও আমাদের দেশে এখনও এ বিষয়টি অনেকটা নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার। উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। বাংলাদেশসহ আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান এবং ফিলিফাইন সেই সুযোগটিকে খুবই কাজে লাগাচ্ছে। আমরা যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজার ভালমত কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্ত হাতিয়ার।
freelancing and outsourcing

আউটসোর্সিং:

প্রথমেই দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং (Offshore Outsourcing) কি এবং কেন করা হয়। আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে পণ্যের শুধু ডিজাইন করা অথবা সম্পূর্ণ উৎপাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিং এর সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। অন্যদিকে অফশোর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে ভিন্ন দেশ থেকে করিয়ে আনা। প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো (যেমন – ডাটা প্রসেসিং, এসইও, ইন্টারনেট ভিত্তিক মার্কেটিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, টেকনিকাল সাপোর্ট, ওয়েব ইত্যাদি) অফশোর আউটসোর্সিং করা হয়। যেসকল দেশ এই ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেইন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপিনস, রাশিয়া, পাকিস্থান, পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়শিয়া, মিশর এবং আরো অনেক দেশ।
ফ্রিল্যান্সিং:
এবার দেখে নেয়া যাক, ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কি এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার স্বীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সাথেও সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার সাথে যদি থাকে একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তাহলে যেকোন জায়গাতে বসেই আপনি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর কাজগুলো করতে পারেন। হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি বা কেমবলমাত্র লেখালেখি করা।
কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সহজ, যদি আপনি হোন –
• একজন স্মার্ট।
• সমসাময়িক প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত, বিশেষ করে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ধরনের সাইট ও সার্ভিস সম্পর্কে ভাল ধারনা।
• কোন বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শী, তা হতে পারে – প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ওয়েসাইট মেইন্টেন্যান্স, ওয়েবসাইট প্রোমোশন, এসইও, ফটোশপ, গিম্প, ফ্লাশ, 2D এনিমেশন, 3D এনিমেশন, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ইত্যাদি আরো অসংখ্য বিষয়।
• ইংরেজি পড়তে এবং লিখতে মোটামুটি দক্ষ।
• নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সদা প্রস্তুত, কারণ প্রায় সময় দেখবেন বায়ার এমন একটা কাজের কথা বলেছে যা আপনি আগে কখনও শোনেননি। সেই ধরনের কাজের সমাধান সার্চ করে বের করা এবং অল্প সময়ে তাতে দক্ষতা আর্জন খুবই জরুরী।
উপরের যেকোন একটিতে যদি আপনার দূর্বলতা থেকে থাকে তাহলে আমি বলব আপনার ফ্রিল্যান্সার হওয়ার এখনও সময় হয়নি। প্রথমে সময় নিন, নিজেকে প্রস্তুত করুন এবং তারপর ঝাপিয়ে পড়ুন।
সুতরা্ং বুঝতেই পেরেছেন কি ধরনের কাজ করবেন বা কি ধরনের সার্ভিস দিবেন তা আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে। যেহেতু গ্লোবাল মার্কেট, গ্লোবালি কম্পিটিশন করে এক্সপার্টদের মধ্য থেকে বিড উইন হয়ে কাজ নিতে হবে এবং মান সম্মত সার্ভিস দিতে হবে সেহেতু আপনাকে সুনির্দিষ্ঠ বিষয় বা সাব্জেক্টের উপরে খুব ভাল স্কীলড্ হতে হবে।পাশাপাশি ইংলিশ কমিউনিকেশন ত লাগবেই।
অতএব, আমি মনে করি ফ্রিল্যান্সিং / আউটসোর্সিং হচ্ছে এমন একটি পেশা যেটা করার জন্য অনেক বেশি কোয়ালিফাইড হতে হয়, ধৈর্য্য, সিরিয়াসনেস, নিজ উদ্যোগে কাজ করার মনমানসিকতা, অনেক বেশি জানার ও শিখার প্রতি আগ্রহ ইত্যাদি গুণাবলী থাকতে হয়।
এখানে বিভন্ন ধরনের জব ক্যাটাগরি আছে যেমন-
Web Design / Web Development / Software Development / Networking & Information Systems / Customer Service / Business Services / Design & Multimedia / Sales & Marketing / Writing & Translation / Administrative Support ইত্যাদি
সুতরাং কোন একটি ক্যাটাগরিতে ভালমত দক্ষ হয়ে তারপর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের উপর আইডিয়া নেন। প্রোফাইল সাজিয়ে নিয়মিত বিড করা শুরু করে দিতে পারেন।
একটা কথা না বললেই নয়, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে ইনভলভ হওয়ার জন্য খুব বেশি সময় লাগে তা না, কোন একটা বিষয়ে স্কীলড হলে, ইংলিশ কমিউনিকেশন ও মুটামুটি থাকলে মার্কেটপ্লেস গুলোতে নিয়মিত চেষ্ঠা চালিয়ে গেলে মুটামুটি কাজ পাওয়া যায়। কথা হচ্ছে টার্গেট পূর্ণ করতে / ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে বা লাখ টাকা ইনকাম করার পর্যায়ে আসতে সময় লেগে যায়, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে স্কীল লেভেলের উপর। এই মাসে কোর্স করলাম আর তার পরের মাস থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করব এইটা কখনোই সম্ভব না।
অনেকেরেই ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং নিয়ে তেমন ধারনা না থাকাতে আমার অফিসে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় প্রায়ই। বীকন আইটি’তে আমি যেটা করি,
১। কেউ জানতে আসলে তাকে আগে এই বিষয়ে ধারণা দেয়ার চেষ্ঠা করি।
২। তারপর তাকেই নির্ধারণ করতে বলি সে কোন বিষয়ের উপর স্কীলড হবে।
৩। স্কীলড ডেভেলপমেন্টের কোর্স সম্পন্ন করার পর বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের উপর প্রশিক্ষণ দিই।
৪। তারপর তারা প্রোফাইল সাজানোর পর নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যায়।
৫। আমি টার্গেট দিয়ে দিই যে যদি কোর্সের মেয়াদ ৪ মাস হয় তাহলে পরবর্তি ১ মাস থাকবে মার্কেটে দুই একটা জব নিয়ে ইনভলভ হওয়ার জন্য। এর মধ্যে কেউ কোর্স চলাকালীন সময়ে জব পেয়ে যায় আবার কেউ ১ মাসের মধ্যেই পেয়ে যায় আবার কেউ আরো পরে। এইটা নির্ভর করে তাদের প্রচেষ্ঠা, সিরিয়াসনেস, কমিউনিকেশন ও ধর্যৈর উপর।
৬। কিন্তু নতুন হিসেবে প্রথম দিকে অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তারা কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করে অভিজ্ঞতা না আসা পর্যন্ত আমার সাথে যোগাযোগ রাখে । আমি চেষ্ঠা করি যতটুকু জানি তা শেয়ার করার জন্যে।
সুতরাং আনুমানিক দুই থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে কোন একটি বিষয়ের উপর স্কীলড ডেভেলপ করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দেয়া যায় কিন্তু টার্গেট পূর্ন করার জন্য সময় লেগে যায়। ভাগ্য ভাল থাকলে ত প্রথমেই ছক্কা।
Share:

ওয়েবসাইট আমাদের কি কি কাজে লাগে? এবং কেন ব্যবহার করব?

কেমন আছেন আপনারা,
আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি ওয়েবসাইট নিয়ে। আজকাল ইন্টারনেট বিস্তৃতির সাথে সাথেই ওয়েবসাইট এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের উপর লোকজন অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।এখন এটা জানা অত্যন্ত জরুরী যে ব্যবসার উন্নয়নে ওয়েবসাইট কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং কীভাবে একটি ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসাকে আরও উন্নত এবং আপনাকে আরও লাভবান করবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক
why need a website

১. একটি শক্তিশালী মার্কেটিং মাধ্যমঃ
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ কিছু ক্রয় বিক্রয়ের আগে সেই দ্রব্য এবং কোম্পানি সম্পর্কে জানার জন্য ইন্টার্নেটে সেই কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।এমনকি কেউ যদি দ্রব্যটি নাও কিনতে চান তবু তারা দ্রব্য এবং কোম্পানি সম্পর্কে কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পছন্দ করেন। এভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব দ্রুত ও সহজেই যেকোন ব্যবসা মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে ও আস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।

২. সকলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য দ্রুত ও সহজতর উপায়ঃ
মূলত যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে তবে ক্রেতা,দয়িত্বশীল কর্মচারী,ব্যবসায়িক সহকর্মী,এমনকি বিনিয়গকারী পর্যন্ত আপনার ব্যবসা সম্পর্কে যে কোন সময় পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে বসে খুব দ্রুত ও সহজেই জানতে পারবেন ও যোগাযোগ করতে পারবেন।

৩. ব্যবসার মান উন্নত করাঃ
বর্তমানে এমন কিছু নেই যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রয় বা বিক্রয় করা যায় না এবং এর হার দিনদিন বেড়েই চলেছে। বই থেকে শুরু করে মুদির দোকানের জিনিসপত্র কিংবা রিয়েলস্টেটের মত দামী উপকরণও এখানে কেনাবেচা চলছে।যে কোন ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তি তার ব্যবসাকে আরও উন্নত ও আধুনিকায়ন করতে ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।এতে ব্যবসা আরও দ্রুত প্রাণবন্ত ও জীবন্ত হয়ে উঠে।

৪.বাজারের অন্য সকল ব্যবসার সাথে প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসাঃ
বর্তমানে বেশিরভাগ দায়িত্বশীল কোম্পানির নিজস্ব ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট রয়েছে।তাই যদি আপনার ব্যবসার নিজস্ব কোন ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট না থাকে তো আপনার ব্যবসা অন্য সেই সকল ব্যবসা থেকে পিছিয়ে পড়বে যাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট রয়েছে।

৫. আন্তর্জাতিক ভাবে লেনদেন এবং পরিচিতির অন্যতম মাধ্যমঃ
আধুনিক বিশ্বে বহু আগে থেকেই ওয়েবসাইটের প্রচলন রয়েছে।বর্তমানে বাংলাদেশের জন্যেও এটি একটি সম্ভবনাময় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।বড় বড় কর্পোরেশন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ও পরিচিতি লাভের জন্য ওয়েবসাইটকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

৬. ক্রেতাকে প্রভাবিত করার অন্যতম উপায়ঃ
যদি আপনার একটি ছোট বা বড় ব্যবসা থাকে তো নি:সন্দেহে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন। যদি আপনার কোন ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে ক্রেতা ধরেই নিতে পারেন এটি একটি সল্প সাময়িক কোম্পানি এবং আপনি আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সচেতন বা দায়িত্বশীল নন।এভাবে আপনি ক্রেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারেন।একটি ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষের মনে আস্থা গড়ে তুলতে পারে।তাই বলা যেতেই পারে আপনার সাইটটিই হতে পারে কোন ক্রেতাকে আকর্ষণ করার প্রথম সুযোগ ও অন্যতম উপায়।
Share:

সহজেই বন্ধ করুন ফেসবুকের মেসেজ Seen অপশনটি, আর হয়ে যান একটু অন্যরকম

কেমন আছেন আপনারা, আশা করি ভালোই আছেন আর ভাল না থাকলেও আজ এমন একটা জিনিস দেখাবো যাতে একটু হলেও মন ভাল হবে আপনার। আজ কথা বলব Facebook message Seen অপশনটি নিয়ে। ধরুন বন্ধুকে মেসেজ দিয়েছেন অথচ সে শুধু মেসেজটি দেখে উত্তর না দিয়ে রেখে দিয়েছে। আর তা আপনি ফেসবুকের Seen অপশন এর মাধ্যমে জেনে গেলেন।
stop facebook message seen option
আর ব্যাস, লেগে গেল ঝগড়া, হয়ে গেল মন মালিন্য। এরকম উদাহরণ হাতে গোনা নয়, এগুলো
ঘটছে প্রায় প্রতি মুহূর্তেই। আমি নিজেও এরকম পরিস্থিতে পড়েছি। জানি আপনিও কোন না কোন সময় এরকম ঝামেলায় পড়েছেন। আপনি চাইলে ফেসবুকে এই Seen অপশনটি বন্ধ করে দিতে পারেন।  তাই এই অবস্থা থেকে বাঁচতে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি এই ছোট টিউটোরিয়ালটি। আপনিও চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুকে Seen অপশন বন্ধ করে দিতে পারেন। আমি যে টিউটোরিয়ালটি শেয়ার করছি তা শুধুমাত্র মজিলা ফায়ারফক্স এবং গুগল ক্রোম ব্রাউজারের জন্য উপযোগী।

ফায়ারফক্সে Seen বন্ধ করার পদ্ধতিঃ
আপনার Firefox ব্রাউজার থেকে  এখানে ক্লিক করুন এবং Add to Firefox এ Install দিন
ব্যাস এখন থেকে আপনি কারো ফেসবুক মেসেজ দেখে থাকলে সে কখনই জানতে পারবেনা যে আপনি তাঁর মেসেজ ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছেন।
আর আপনি যদি এই Seen অপশনটি আবার চালু করতে চান তাহলে মজিলা ফায়ারসক্সের Tools > Add-ons > Extentions মেন্যু থেকে Unseen নামের অ্যাডঅনটি Disable করে দিন।

গুগল ক্রোম ব্রাউজারে Seen বন্ধ করার পদ্ধতিঃ
আপনার গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে
এখানে ক্লিক করুন এবং Add to Chrome এ Install দিন
এবারেও আপনার কাজ শেষ। আপনার ফেসবুক মেসেজ আর কেউ Seen অপশন দেখতে পারবেনা।
আর এই অপশন আবার চালু করার জন্য ব্রাউজারে নতুন একটি আইকন দেখতে পারবেন সেটার মাধ্যমে করতে পারবেন।

আজ এখানেই শেষ করছি। আশা করছি, এই ছোট ট্রিকসটি আপনার ভালো লাগবে অতএব আমাদের ব্লগের সাথেই থাকুন। আর কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ
Share:

ইভেন্ট ব্লগ কি, কেন এবং কিভাবে শুরু করবেন

আসসালামু আলাইকুম,
আজ আমরা ইভেন্ট ব্লগিং এর উপর আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি। অনেকে হয়তো ভাববেব যে ইভেন্ট ব্লগিং আবার কি জিনিস। এটি হওয়ার প্রধান কারণ হল আমাদের দেশে ইভেন্ট ব্লগারের সংখ্যা অনেক কম আর এই সংক্রান্ত লেখাও বাংলায় খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই এই উদ্যোগটা নিলাম। এই বিষয়ে আপনাদের যে কোন মতামত, পরামর্শ কিংবা যে কোন প্রশ্ন সাদরে গ্রহণযোগ্য। তো চলুন, শুরু করা যাক।
event bloging

ইভেন্ট ব্লগ কি?
ইভেন্ট ব্লগ কে আমরা সল্পমেয়াদী ব্লগ বলতে পারি। যা নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্যেই করা হয়। তবে অনেক সময় তা ১-৭ দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। এই ইভেন্ট ব্লগ গুলো করা হয় মূলত কিছু বিশেষ বিশেষ দিনকে টার্গেট করে কিছু বিশেষ নিশ বা টপিক নিয়ে। যেমন ধরুন Happy New Year 2017, Valentines Day 2016। এই ধরণের নিশ এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট দিনেই প্রচুর সার্চ পরে। আর এই ধরণের নিশ থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট দিনে অনেক বেশী ইনকামও করতে পারবেন। আমাদের সামনে 16 December এবং Happy New Year 2017 আসতেছে। Happy New Year 2017 কিংবা 16 December নিয়ে সাইটে বা ব্লগে যদি কিছু আর্টিকেল লিখা হয় তাহলে কেমন হবে। কারণ ওইসব দিনে ওইসব বিষয়েই বেশি সার্চ করে মানুষ।
এই রকম বেশ কিছু টপিক আছে যেগুলো একটি নির্দিষ্ট দিনে সার্চের পরিমাণ বেড়ে যায়, সেই ধরণের নিশ গুলোকে আমরা ইভেন্ট বেসড নিশ বলি। আর যারা এই ধরনের টপিক নিয়ে ব্লগ করে, তাদের ব্লগ গুলো কে আমরা ইভেন্ট নিশড ব্লগ বলতে পারি, আর তাদেরকে ইভেন্ট ব্লগার বলি। এই হচ্ছে ইভেন্ট ব্লগিং এর সংজ্ঞা।

ইভেন্ট ব্লগ কেন করবেন?
এটা অনেক ব্লগারেরই প্রশ্ন, কেন ইভেন্ট ব্লগ করবো? এটার এমন কি সুবিধে আছে? তো আসুন, আমরা একটু জেনে নেই এই ইভেন্ট ব্লগের সুবিধে গুলো কি কি? কেন আপনি ইভেন্ট ব্লগ করবেন? ইভেন্ট ব্লগে ইভেন্টের দিনে আপনি হিউজ পরিমান ট্র্যাফিক পাবেন। যা আপনার রেগুলার ব্লগের চেয়েও অনেক অনেক গুণ বেশি।
আপনি খুব অল্প সময়ে ইভেন্ট ব্লগের মাধ্যমে বেশী ইনকাম করতে পারবেন।
ইভেন্ট ব্লগিং করা অনেক সহজ আর খুবই অল্প সময় লাগে।
আপনি ইভেন্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ কিংবা টুইটারের Follower বাড়াতে পারবেন খুব সহজেই। যা আপনার ইনকামের পাশাপাশি বোনাস হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
এটা সম্পূর্ণ বৈধ এবং এখানেও আপনাকে Quality Content দিয়েই শুরু করতে হবে।
এই ধরণের ব্লগে আপনি এ্যাডসেন্স থেকেই অনেক ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি গুগল এ্যাডসেন্স এর সাথে ব্যবহার করা যায় এমন অন্যান্য নেটওয়ার্ক থেকেও ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু, এই ইভেন্ট ব্লগ শুধুমাত্র ইভেন্টের দিনেই আপনাকে রেভেনিউ দিতে পারবে। এরপর এই সাইট আপনার ইনকামের ক্ষেত্রে কোন কাজেই আসে না। এই সাইটের ভিজিটরও দেখবেন শূন্যের কোঠায় গিয়ে থামবে। অনেক ব্লগারই আছেন, যারা তাদের ইভেন্ট ব্লগ কে ইভেন্টের পর SEDO তে পার্ক করে দেন। কিন্তু, আপনি চাইলে এই ব্লগকে ব্যবহার করতে পারেন। আসুন, একটু জেনে নেই ইভেন্ট ব্লগ এর ক্ষেত্রে ইভেন্টের পর এই ব্লগ দিয়ে আপনি আরও কি কি করতে পারবেন?
কোন কোন নিশ নিয়ে ইভেন্ট ব্লগ করা যায়?
এখানে সংক্ষেপে কিছু ইভেন্ট বেসড নিশের আইডিয়া দিচ্ছি। সেগুলো দিয়ে আপনি ইভেন্ট ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন, এছাড়া আপনিও আপনার পছন্দের নির্দিষ্ট নিশ নির্বাচন পারেন,
Happy New Year
Valentine’s Day
Halloween Day
Independence Day
Good Friday
Father Day
Mother Day
Christmas Day
Exam Result
Festivals(Eid, Holi, Raksha Bandan)
Cricket (IPL, BPL, ICC etc.)
Fotball/FIFA

ইভেন্টের শেষে কি করবেন?
সবার আগে আপনি আপনার এই ইভেন্ট ব্লগ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাটুকুর কথা ভাবুন। এই অভিজ্ঞতাই আপনাকে পরবর্তী ইভেন্টের ব্যাপারে মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে তুলবে। তাই এই ধরণের ব্লগ থেকে অভিজ্ঞতা একটা বড় পাওয়া।
এই ইভেন্টের কন্টেন্ট গুলোও আপনি পরবর্তী (একই নিশের উপর যদি হয়) ইভেন্টেও ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ইভেন্ট থেকে পাওয়া ফেসবুক পেজের লাইক কিংবা টুইটার Follower দের কেও আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। অনেকেই আছেন, যারা ইভেন্ট এর দিনে ই-মেইল সংগ্রহ করে। যা দিয়ে তারা পরবরতীতে CPA Offer পাঠায় এছাড়াও বিভিন্ন প্রমোশনমুলক কাজে ব্যবহার করে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই ইভেন্ট ব্লগকে কে সফল করতে আপনার অনেক বেশি পরিমান ব্যাকলিঙ্ক করতে হয়, যা পরবর্তী ইভেন্টের জন্যে আপনি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।
আপনি চাইলে ব্লগের টপিক নিশের সাথে মিল রেখে কিছুটা পরিবর্তনও করতে পারেন। এতে করে আপনার রেগুলার ভিজিটরও পাবেন।
Share:

ওয়েব ২.০ (web 2.0) কি? এটার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

প্রথমে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই,
আপনারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ওয়েব ২.০ এর নাম অবশ্যই শুনেছেন। এই আর্টিকেল এ ওয়েব ২.০ নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করার চেষ্টা করবো। বেশি কথা নাহ বলে, শুরু করা যাক।
web 2.0

ওয়েব ২.০ কি?
আমরা অনেক ফ্রী ব্লগ সাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া সাইট দেখি। এরা ফ্রী অ্যাকাউন্ট করতে দেয় ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। এসব ওয়েবসাইট গুলোতে অ্যাকাউন্ট করে ও বিভিন্ন উপায়ে লিঙ্ক শেয়ার করে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করার মাধ্যম হলো ওয়েব ২.০। আপনি আপনার সাইট বা ব্লগ এর জন্য ওয়েব ২.০ করে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করে সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কিং বাড়াতে পারেন। ভালো ভাবে ওয়েব ২.০ করলে লো কোয়ালিটি ডোমেইন দিয়েই ভালো রেঙ্কিং পাওয়া যায় । তাহলে, ওয়েব ২.০ এর ভালু আছে এটা অবশ্যই বলা যায় ।

ওয়েব ২.০ এর করার উদ্দেশ্যঃ
ওয়েব ২.০ এর উদ্দেশ্য হলো ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা । আর, সার্চ ইঙ্গিন রেঙ্কিং বাড়ানোরে জন্যই লিঙ্ক বিল্ডিং করা হয় । ভালো কি ওয়ার্ড নিয়ে সার্চ রেঙ্কিং এর প্রথম দিকে থাকলে সার্চ ইঞ্জিনই প্রচুর ট্রাফিক যোগাড় করে দিবে। এসব কারনেই, লিঙ্ক বিল্ডিং আর ওয়েব ২.০ এই লিঙ্ক বিল্ডিং এর একটা প্রসেস । নিচে ওয়েব ২.০ করার কিছু উদ্দেশ্য বলা হলঃ

ওয়েব ২.০ করে আপনি আপনার ওয়েব সাইট বা ব্লগ এর জন্য ভালো মানের ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে পারবেন ।
ওয়েব ২.০ করে আপনি হাই রেঙ্কিং সাইট গুলো থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিতে পারবেন ।
ওয়েব ২.০ দ্বারা যে সকল ব্যাকলিঙ্ক নিবেন সেই, ব্যাকলিঙ্ক গুলো সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কিং ও অন্যান্য রেঙ্কিং বাড়তে সাহায্য করবে ।
ওয়েব ২.০ আপনাকে সরাসরি তেমন ট্রাফিক নাহ দিলেও, সার্চ রেঙ্কিং বাড়িয়ে প্রচুর ট্রাফিক যোগাড় করে দিবে ।

ওয়েব ২.০ যেভাবে করবেনঃ
ওয়েব ২.০ করা তেমন কোন কষ্টের ব্যাপার না। কিন্তু, উল্টাপাল্টা নিয়মে ওয়েব ২.০ করতে থাকলে হীতে বিপরীত হতে পারে। নিচে সঠিক ভাবে ওয়েব ২.০ করার নিয়ম ও কিছু সাজেশন দেওয়া হলোঃ

এই আর্টিকেলে আমি ওয়েব ২.০ করার জন্য কিছু সাইট শেয়ার করবো, সেগুলো ড্রাইভে বা মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইলে সেভ করুন। তাহলে, কাজ করতে সুবিধা হবে।

এবার, একটা একটা করে সাইট গুলো ভিজিট করুন ও ইমেইল সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
কোন সাইট থেকে কি ভাবে ব্যাকলিঙ্ক নিতে হবে, এটা সাইট এ ভিজিট করলেই বুঝতে পারবেন। সাধারণ ভাবে ঐ সাইটটা দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন। তারপরেও
নিচের প্রসেস গুলো দেখুনঃ
# "যদি সেই সাইট, আপনাকে সাব ডোমেইন এর সাইট করে কন্টেন্ট পাবলিশ করতে দেয় তাহলে কন্টেন্ট পাবলিশ করার মাধ্যমে করতে হবে ।" এর মধ্যে ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম উল্লেখযোগ্য
# "সোশ্যাল সাইট, যেমন গুগল+ বা ইউটিউব। এখানে, আপনাকে অ্যাকাউন্ট প্রোফাইল পেজ থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিতে পারবেন ।"
# "কিছু সাইট এ আপনাকে কোন আর্টিকেল অন্য কোন ফরম্যাট এ পাবলিশ করতে হতে পারে। "

অ্যাকাউন্ট করার পরে, সাব ডোমেইন করা গেলে সাব ডোমেইন করুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটাই করা হয়ে থাকে । সাব ডোমেইন টি আপনার কিওয়ার্ড দিয়ে করবেন নাহ । অন্য কোন নাম বা কিওয়ার্ড দিয়ে করাই ভালো। ডিজাইন নিয়ে কোন মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। মোটামুটি একটা ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করুন ( ভালোভাবে রিরাইট করে বা অন্য কোন উপায়ে অল্প সল্প ইউনিক করলেই হবে তবে, পুরা কপি পেস্ট এর আন্ডারে চলে যেয়েন নাহ ) । আর্টিকেল টা আপনার সাইট এর আর্টিকেল গুলোর মতো বা সেম ক্যাটাগরি এর হবে নাহ। কীওয়ার্ড যদি হয় "bangladeshi school list" তাহলে ঐ আর্টিকেল হবে এমন "bangladedhi collage list"। আর্টিকেল এর শেষে ক্রেডিট বা অন্য কিছু মধ্যে আপনার কিওয়ার্ড লিঙ্ক সহ লিখুন। একটা সাব ডোমেইন এর সাইট থেকে যতো ব্যাকলিঙ্ক নিতে থাকবেন ততো ব্যাকলিঙ্ক এর ভেলু কমতে থাকবে। তাই চেষ্টা করুন, ১টা সাব ডোমেইন এর সাইট থেকে ২ এর বেশি ব্যাকলিঙ্ক নাহ নিতে । অতএব আপনি যতগুলো পারেন সাইট তৈরি করে একটি করে পোস্ট করে নিচে আপনার মেইন সাইটের লিংক দিন

কিছু সাইট আপনাকে সাব ডোমেইন করতে দিবে নাহ। যেমন, গুগল+। আপনাকে জিমেইল অ্যাকাউন্ট দ্বারা গুগল+ এ লগিন করতে হবে ও প্রোফাইল এ ওয়েবসাইট বা এই ধরনের সেকশন এ লিঙ্ক দিয়ে ব্যাকলিঙ্ক নিয়ে হবে । গুগল+ এর মতো সব সোশ্যাল সাইট এ আপনি প্রোফাইল ব্যাকলিঙ্ক নিতে পারবেন। এটা নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। আশা করি বুজতে পারছেন বিষয়টা। নিচে কিছু পেজ রাঙ্কসহ ওয়েব ২.০ কাজ করার সাইট দেওয়া হলঃ


বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করতে পারেন যথাসাধ্য সাহায্য করা হবে

Share:

ফেসবুকের রং নীল কেন? জেনে নিন ব্যাপারটা

সবাইকে আমার সালাম জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করছি। আপনি কি জানেন ফেসবুক এর রঙ কেন নীল? যদি জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য না। যারা জানেন না তাদেরকে বলছি আপনি খুব সহজ এ যে কোন ফেসবুক প্রেমিককে এই প্রশ্ন করে আটকিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনাকে কেউ করে আশাকরি আজকের পর থেকে সবাইকে চমকিয়ে দিবেন। শুধু রঙ নীল এটা না আরও ৪টি না জানা প্রশ্নের উত্তর আজকে আপনি পেয়ে যাবেন।
why facebook is blue


ফেসবুক এর রঙ কেন নীল? আপনারা জেনে অবাক হবেন যে আমাদের সবার প্রিয় ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বর্ণান্ধ মানে উনি রঙ চিনতে ভুল করেন। আর সেই কারণে উনি নীল রঙ বেছে নিয়েছেন।
পৃথিবীতে যত সামাজিক যোগাযোগ এর সাইট আছে এর মধ্যে ফেসবুক এ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভাষা ব্যাবহার এর সুবিধা আছে যার সংখ্যা আনুমানিক ৭০ টির উপরে।

আর সারা পৃথিবীতে ফেসবুক ব্যাবহারকারীর সংখ্যা আনুমানিক ১১৫ কোটির উপর। যা বর্তমানে একটি ব্যাধি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক ব্যাবহার করার ফলে নতুন এক ধরনের রোগ এর সৃষ্টি হচ্ছে মনোবিজ্ঞানিরা যার নাম দিয়েছে ‘ফেসবুক অ্যাডিকশন ডিসঅর্ডার’।

আর একটি মজার বিষয় ইন্টারনেট মাষ্টার জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর থেকে ফেসবুক এর আয় অনেক বেশি।
বর্তমানে আমরা ফেসবুক এর যে লাইক বাটন ব্যাবহারকরি মার্ক জুকারবার্গ এর নাম রাখতে চেয়েছিল অসাম বাটন কিন্তু পরবর্তীতে তা আর করা হয় নি।
ভাল থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ
Share:

গুগল আপনার বিষয়ে যা যা জানতে পারে

আপনারা প্রতিনিয়ত গুগল ব্যবহার করছেন, কোনো তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না সেটা গুগল করছেন। কিন্ত আপনি জানেন কি গুগল আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে! আপনার অনেক ব্যক্তিগত বিষয় যা কেউ না জানলেও গুগল জানে।
  • google knows everything


আসুন জেনে নিই। গুগল আমাদের সম্পর্কে যা যা জানে....
১. গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। কখন কোন বিজ্ঞাপন আপনার কাছে প্রকাশিত হবে তা নির্ভর করে আপনার গুগলের পরিষেবা ব্যবহারের উপর। ধরুন আপনি 'গ্রামীণফোন' লিখে গুগল সার্চ করলেন। সেক্ষেত্রে আপনি যখন অন্য কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তখন আপনাকে গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপণ দেখাবে। এক্ষেত্রে গুগল আপনার সার্চ হিস্টোরি সংগ্রহ করে একটি প্রোফাইল তৈরি করে এবং আপনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিজ্ঞাপণগুলো প্রপদর্শন করে।
চিন্তার কারণ নেই আপনি ইচ্ছা করলে এটি বন্ধ করতে পারবেন।
বন্ধ করার জন্য ভিজিট করুন http://www.google.com/settings/ads
২. আপনি যদি এন্ড্রয়েড ব্যবহার করে থাকেন এবং আপনার জিমেইল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করে রাখেন তবে আপনার সমস্ত লোকেশনের হিস্টোরি গুগল পাবে। আপনি কখন কোথায় গেছেন সেটাও জানবে গুগল। কি অবাক হচ্ছেন?
নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করুন, বিশ্বাস না করে পারবেন না।
https://maps.google.com/locationhistory
৩. আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন সেটাও জানে গুগল। আপনার পরিচিতরা আপনার সম্পর্কে যেটা জানেনা সেটা জানে গুগল। আপনি গুগলে যা লিখে সার্চ করেন তার সমস্ত তথ্য বা ইতিহাস গুগল সেইভ করে রাখে। আপনি কখন কখন বেশি সার্চ করেন সেটাও জানে গুগল। আর এই সার্চের ইতিহাস দেখতে পাবেন নিচের লিঙ্কে
https://www.google.com/history
৪. ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন? কি ভিডিও দেখছেন, কখন দেখছেন, কত মিনিট দেখেছেন তার সব জানে গুগল।
নিচের লিঙ্ক থেকে জেনে নিতে পারেন তার সবকিছু।
https://www.youtube.com/feed/history/search_history
৫. অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপসকে আমরা গুগল একাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দেই। সেসকল অ্যাপস আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নেয়।
কি কি অ্যাপস আপনার তথ্য ব্যবহার করছে তা দেখে নিতে পারেন নিচের লিঙ্কে ভিজিট করে।
https://security.google.com/settings/security/permissions

৬. গুগলে আপনার ব্যবহৃত সকল পরষেবার ইতিহাস বা গুগলে রাখা আপনার সকল ফাইল একযোগে ডাউনলোড করতে পারেন খুব সহজেই।
নিচের লিংকে ভিজিট করে নির্বাচন করুন আপনি কি কি ডাউনলোড করতে চান।
https://www.google.com/settings/takeout
Share:

YoutTube এর কিছু মজার কোড, যেটা অধিকাংশই জানিনা

আসসালামু আলাইকুম,

আমাদের প্রিয় Youtube এর কিছু গোপন Code রয়েছে, এটি প্রায় ৮০ ভাগ লোক ই জানেন না। আজকে সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আশা করি সবার ই ভালো লাগবে। কথা বারিয়ে লাভ নাই চলুন কাজের দিকে যাই।
youtube funny code
টিপস – ১
প্রথমে YouTube যান,
এবার সার্চ বার এ Doge meme লিখে সার্চ দিন আর দেখুন ম্যাজিক, আপনার ইউটিউব এর ফ্রন্ট স্টাইল আর কালার পরিবর্তন হয়েগেছে।
টিপস – ২
এবার সার্চ বার এ Beam me up Scotty লিখে সার্চ দিন বা এন্টার এ চাপ দিন, দেখবেন আপনার ইউটিউব স্ক্রিন এ বৃষ্টির মতো এফেক্ট উপর থেকে নীচের দিকে পরছে। (এটি সবসময় কাজ নাও করতে পারে)
টিপস – ৩
এই ম্যাজিকটা খুব মজাদার Use the Force Luke লিখে সার্চ দিন বা এন্টার চাপুন, আপনার ইউটিউব অ্যানিমেটেড হয়ে যাবে ভিডিও এর সঙ্গে টেক্সট গুলো স্ক্রীন এ ভাসতে থাকবে।
টিপস – ৪
এবার আসি সবথেকে মজাদার ম্যাজিক এ এটা আমার খুব ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদেরও খুব ভালো লাগবে, এই ম্যাজিক এ ইউটিউব গানের তালে তালে নাচতে থাকবে।
ম্যাজিকটি দেখার জন্য আপনাকে সার্চ বারে Do the Harlem Shake লিখে সার্চ দিতে হবে কিছুক্ষণের মধ্যে একটা গান বাজবে আর ইউটিউব নাচবে।
সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
এরকম আরোও ভালো ভালো টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ সকলকে।
Share:

Search

Blog Archive